মারামারির ভিডিও করায় জবিতে সাংবাদিকের ওপর ছাত্রদলের হামলা

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীদের মারামারির ভিডিও করায় এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালের কণ্ঠে'র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখ। রবিবার (১৭ নভেম্বর) ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার পাশে বিকেল সাড়ে তিনটার পরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, এদিন ধূপখোলায় জবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়। একে উভয় বিভাগের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ফের মারামারি বাঁধে। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে এ ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ মারামারির ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতে প্রথমে বাঁধা দেন শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পরাগ হোসেন। এসময় অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সাংবাদিকের উপর হামলা করেন।
আরো পড়ুন: ভারতীয় হেজিমনি পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমি ভাস্কর্য চত্বরে দাড়িয়ে ছিলাম। দেখতে পাই ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব দিকে মারামারি হচ্ছে। আমি ফোন দিয়ে ভিডিও করতে শুরু করি। এ সময় চার-পাঁচ জন কেন আমি ভিডিও করছি জিজ্ঞেস করে। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেই। পরে তারা বলেন, তুই কে? তুই কিসের সাংবাদিক! ভিডিও কেন করবি? বলে ফোন ছিনিয়ে নিতে যায়। বাঁধা দিলে তাদের কয়েকজন আমার বুকে আঘাত করে। পরে আমি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা সরে যায়। এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে সরে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পরাগ হোসেন বলেন, আমি সেখানে হামলা ঠেকিয়েছি। আমি হাত দিয়ে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলাম। সেখানে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সেক্রেটারি সুজন মোল্লা বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝার উপায় নেই কারা গায়ে তুলেছে। আমরা শনাক্ত করতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। করতেও চাই না।
জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুধু সাংবাদিক নয়, কোন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হলেও আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কে হামলা করেছে, তার পরিচয় শনাক্ত করা গেলে আমরা সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেয়েছি। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।