কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ এএম

শীত উপেক্ষা করেই সকালে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। ছবি : সংগৃহীত
তাপমাত্রার পারদ কমার পাশাপাশি হিমেল বাতাসের ঠান্ডায় কাবু উত্তরের জেলা পঞ্চগড়; দিনভর ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত করে উঠেছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। হিমেল বাতাসের কারণে কাজে যেতে পারেননি অনেক।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেয়া তথ্য অনুসারে প্রকট শীত বাড়িয়েছে হিমেল বাতাস। স্থানীয়রা বলছেন বরফঝরা বাতাস বইছে এ অঞ্চলে।
এরআগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। তাপমাত্রা বাড়ার একদিন পর আবারো তাপমাত্রা কমায় শীত জেঁকে বসেছে এ জেলায়।
আরো পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতে কাঁপছে দেশ
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে শীত উপেক্ষা করেই সকালে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন পর পর আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।
এদিকে উত্তরের এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।