সীমান্তে চরম উত্তেজনা, ৫ কিমি এলাকা পুনরুদ্ধার করল বিজিবি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২০ পিএম
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই সীমান্তে ভারতের দখলে থাকা ৫ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করে নিজেদের দখলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
৭ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ভারতের অন্তর্গত ৫ কিলোমিটার ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এমন প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএসএফ।
এক বিবৃতিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এই ধরনের প্রতিবেদনে ‘সত্যতা ও যোগ্যতার’ অভাব রয়েছে।
বিজিবি সদস্যরা গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে মোটরচালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে বলে যে দাবি সামনে এসেছে, বিএসএফের বিবৃতিতে সেটিও অস্বীকার করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, এই প্রতিবেদনগুলো ‘মনগড়া গল্প’ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএসএফ এবং বিজিবি নদীর নিজ নিজ তীরে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে, যা আন্তর্জাতিক সীমানা হিসাবে কাজ করে। ‘ বিএসএফ বলেছে, ‘এই ধরনের মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি শুধুমাত্র দুই সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতের দখলে থাকা কোদালিয়া নদীর পাঁচ কিলোমিটার উদ্ধার করে বিজিবি। গত ৬ জানুয়ারি ৫৮ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোদালিয়া নদী বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয়ে মহেশপুরের মাটিলা এলাকায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চিহ্নিত করেছে। ১৯৬১ সালে প্রণীত বাংলাদেশ-ভারত মানচিত্র অনুসারে কোদলা নদীর উল্লিখিত ৪.৮ কিলোমিটার নদী সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্য রেখার অভ্যন্তরে অবস্থিত।
বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, সম্প্রতি কোদালিয়া নদীর প্রকৃত মালিকানা-সংক্রান্ত এই বিষয়টি ৫৮ বিজিবির নজরে আসে। এরপর বিজিবি প্রথমে বিভিন্ন নথিপত্র স্থানীয় প্রশাসন ও মানচিত্র থেকে নদীটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে বিএসএফের অবৈধ আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পরে ৫৮ বিজিবির সদস্যরা সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কোদালিয়া নদী নিজেদের আয়ত্বে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে বিজিবি প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করেছে।