১৪ বছর পর প্রকাশ্যে হচ্ছে শিবিরের সদস্য সম্মেলন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পিএম
আওয়ামী লীগের দেড় দশকের স্বৈরাচারি শাসনের অবসানের পর প্রথমবারের মতো রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে হচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন। এতে সারা দেশ থেকে ছাত্রশিবিরের সদস্য পর্যায়ের অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ের জনশক্তিরা সরাসরি অংশ নিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর সদস্য সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা গেছে, আওয়ামী শাসন পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারা দেশের সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। এ সম্মেলনেই ২০২৫ সেশনের জন্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এজন্য গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত সদস্যরা অনলাইনে ভোট দিয়েছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, সদস্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে উদ্যান এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পেরে সবাই উচ্ছ্বসিত। সারা দেশ থেকে আসা সদস্যরাও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সদস্য সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শিবিরের ঐতিহ্য অনুযায়ী শহিদের পিতা এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। দুটি সেশনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উন্মুক্ত সেশন ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্যকরী সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের এখানে শুধু সংগঠনের সর্বোচ্চ স্তর, সদস্যদের এবং বিভিন্ন দলের প্রধানদের সঙ্গে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু তারাই আসবেন। সংগঠনের অন্য কর্মী, সমর্থক এমনকি সাথীরাও এ সম্মেলনে থাকবেন না।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতনের সময়েও সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাকালীন এবং অন্যান্য সময়ে অনলাইনে হলেও এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সম্মেলন হচ্ছে।
একই দিন বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবেন সরকার পতন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণার পরিবর্তে আজ ‘মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি পালন করা হবে।সোমবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারও শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিল স্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল।