×

ভিডিও

সিরিয়ায় মিলল আয়নাঘর, চাঞ্চল্যকর তথ্য

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম

   

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট অবসান হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসন। এরপর আবারো সামনে গোপন বন্দিশালা- আয়না ঘর। যেখান থেকে একে একে মুক্তি পেতে থাকেন গুমের শিকার মানুষেরা।  

একই চিত্র দেখা গেছে সিরিয়ার সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর। উন্মোচিত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর অধ্যায়। যেখানে কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর চালানো হয়েছিল অমানবিক নির্যাতন। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা এসব নির্যাতনের মধ্যে অন্যতম ছিল সায়দনায়া কারাগার। যেখানে বন্দীদের অমানুষিক যন্ত্রণা দেয়া হতো। 

বাশারের পতনের পর বিদ্রোহীরা বিভিন্ন কারাগারে অভিযান চালিয়ে বন্দীদের মুক্তি দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্দীরা কেউ আনন্দে চিৎকার করছেন, কেউ আবার ভেঙে পড়ছেন কান্নায়। 

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সায়দনায়া ও পালমিরার মরুভূমিতে তাদমর  কারাগার ছিল দেশটির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগার। ২০১৪ সালে সিরিয়ার এক সরকারি কর্মচারী ‘সিজার’ ৫৩ হাজার ২৭৬টি নথি প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায়, ৬ হাজার ৭৮৬ জন বন্দী সরকারি হেফাজতে মারা গেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৭ সালে সায়দনায়া কারাগারকে 'মানব কসাইখানা' বলে আখ্যা দেয়। তারা জানায়, হাজার হাজার মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বা নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বন্দীদের খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।

সিরিয়ার কারাগারগুলোতে বন্দীদের চাবুক দিয়ে পেটানো, ঘুমাতে না দেওয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা এবং ধর্ষণের মতো অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো। পুরুষ ও নারী উভয়ের ওপরই এই নির্যাতন চালানো হয়। একটি বিশেষ ধরনের চেয়ারে বন্দীদের বসিয়ে এমনভাবে বাঁকানো হতো যে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেত। কাঠের পাটাতনের ওপর শরীরের অংশ বেঁধে এমনভাবে টানা হতো যে অসহ্য যন্ত্রণা হতো। বন্দীদের মইয়ে বেঁধে ধাক্কা দিয়ে পেছনে ফেলে দেওয়া হতো, এতে মেরুদণ্ড ভেঙে যেত।

আসাদের কারাগারে যেভাবে ‘ফ্লাইং কার্পেট’ পদ্ধতিতে বন্দীদের ওপর নির্যাতন চলত। 

জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক লিনিয়া আর্ভিডসন জানান, বন্দীশালার চিত্র ভয়াবহ হলেও অপ্রত্যাশিত নয়। ২০১১ সাল থেকে জাতিসংঘ সাবেক বন্দীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করে। সাবেক বন্দীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বর্ণনার সঙ্গে বাস্তব চিত্রের মিল পাওয়া গেছে। তবে এবারই প্রথম তারা বন্দীশালাগুলোর ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।

বিদ্রোহীদের মতে, বাশারের কারাগারে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী ছিল। অনেককে মুক্ত করা সম্ভব হলেও এখনো অসংখ্য মানুষ গোপন কারাগারে আটকে আছে বলে ধারণা তাদের। সাবেক সৈন্য ও কারাগার রক্ষীদের কাছ থেকে গোপন দরজার পাসওয়ার্ড নিয়ে বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, অনেক বন্দী বৈদ্যুতিক দরজার পেছনে আটকে আছেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। বন্দীদের মধ্যে অনেকে জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। বাশার আল আসাদের শাসনামলের নির্মম নির্যাতনের চিত্র মানব সভ্যতার জন্য একটি গভীর কলঙ্ক হয়ে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App