আসাদ পালানোর পরপরই সিরিয়ায় ৭৫টি বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
সিরিয়ার সাবেক ১৯তম রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেই সিরিয়ার ৭৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গেল ৮ ডিসেম্বর রোববার জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস থেকে জো বাইডেন বলেন, “আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যেকোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।
৮ ডিসেম্বর রোববার মার্কিন সেনাবাহিনী তার নির্দেশেই সিরিয়ার অভ্যন্তরে আইসিস ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। জেনে রাখা ভালো- আইসিস গোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখতে দক্ষিণ-পূর্ব সিরিয়ায় ৯০০ সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা।
বাশার আল-আসাদের আচমকা পতন হওয়ার প্রসঙ্গেও রোববার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার কথায়, “এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার নিপীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
অন্যদিকে, সিরিয়ায় সরকারহীনতার সুযোগ নিয়ে গোলান মালভূমি দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। ১৯৭৪ সালে ওই মালভূমি নিয়ে দুই প্রতিবেশি দেশের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন- তিনিই ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)কে রবিবার গোলানের সিরিয়ার অংশে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ‘‘কোনও শত্রু শক্তিকে আমরা নিজেদের সীমান্তে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দেব না। সিরিয়ার সঙ্গে গোলান নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, তা সেখানকার সরকার পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে গিয়েছে।”
২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার মসনদে ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তার পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বারবার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। লেবাননে ইসরায়েল এবং ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেই গত ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)। ধীরে ধীরে তারা দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়। দখল করে নেয় একের পর এক শহর। রবিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাজধানীতে ঢুকে পড়লে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।