বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে যে উদ্যোগ নিল শিক্ষার্থীরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
বাজার সিন্ডিকেটে অতিষ্ঠ দেশবাসী। কাঁচাবাজারের আগুনঝড়া দামে বিপাকে দেশের সাধারণ জনগণ। যত দিন যাচ্ছে সিন্ডিকেটের তাড়নায় শাকসবজির দাম যেন আকশচুম্বি। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
গত ২৯ নভেম্বর যশোর শহরের দড়াটনা ব্রিজের পাশে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্দেশে কৃষিপণ্যের হাট বসিয়েছে যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর ২টার দিকে কৃষিপণ্যের এই হার্ট উদ্বোধন করেন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্যমূল্যে এখান থেকে সবজি কিনতে পারবেন।
হাটে পণ্যের ন্যায্য মূল্যের একটি তালিকা বিলবোর্ডে উল্লেখ করা হয়ছে। বিলবোর্ডে দেখা যায় ১ কেজি আলুর মূল্য ধরা হয়েছে ৭৩ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১০৫, আদা ৯০, বাধা কপি ২৭, ফুলকপি ৩৫, টমেটো ৯৫ ও বেগুন ৫৫ টাকা। এছাড়াও বরবটি ৬০, ঢেড়স ৫০, ধনে পাতা ৮, কাঁচা কলা ৩০, জলপাই ৩৫, শিম ৫০, পটল ৪০ ও লেবু ১২ টাকা হালি।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্রদের এই উদ্যোগ নিয়ে অনেক আশাবাদী সাধারণ জনগণ।
তারা বলছেন গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এই কৃষিপণ্যের হাট অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করছে। তারা আরও বলছেন বাংলাদেশের সব জেলায় বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্রদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এতে দেশের জনগন সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি লাভ করবে।
দাম নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে আনার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। সয়াবিন ও পাম তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মূসক কমানো, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ধরে দেয়া ইত্যাদি পদক্ষেপের একমাত্র টার্গেট বাজার নিয়ন্ত্রণ। অভিযানসহ নিয়ন্ত্রণমূলক আরো কিছু কাজও চলছে। কিন্তু, কাঙ্খিত ফল মিলছে না। বিশ্বে বাংলাদেশই এখন একটি দেশ, যেখানে প্রশাসনের চেয়েও সিন্ডিকেট শক্তিমান। চাল-তেল-ডিম-মাছ-সবজি এমন কী কচুর লতি-চ্যাপা শুঁটকিতেও সিন্ডিকেট। শ্রম বাজার, পরিবহন জগতের নাটাইও সিন্ডিকেটের হাতে। এ থেকে মুক্তি পেতে সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত, এমনটাই দাবি জনসাধারণের।