অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে পরিবারের ৫ সদস্যকে নির্যাতন, গণকের চাঞ্চল্যকর তথ্য!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গণকের দেওয়া অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদের ভিত্তিতে নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন মিজানুর ঘরামি, মেয়ে কলেজ পড়ুয়া লামিয়া, স্ত্রী সাবিনা ও শালিকার মেয়ে।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী মিজানুর ঘরামি জানান, ২৭ নভেম্বর রাতে খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক খাইয়ে দূর্বৃত্তরা ঘর থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ লুটে নেয়। পরে মিজানুরসহ তার শ্বশুর, শাশুরি, ছেলে এবং শালির মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। কিন্তু দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলে শালিস বৈঠকের নামে তাদের গোটা পরিবারের উপর নির্যাতন চালানো হয়। মিজানুরের অভিযোগ, অঞ্জনা রানী নামে স্থানীয় এক গণকের মিথ্যা দাবির ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এমন নির্যাতন করা হয়।
স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেন স্ত্রী সাবিনা। অভিযোগ করেন, পরিকল্পিত ভাবে গণকের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রচার করানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ সম্পর্কে গণক অঞ্জনা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। বলেন, আমি কারো অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা গণনা করিনি। শুধু কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে তা বলেছি। এসময় কোন প্রমাণ ছাড়া অনৈতিক সম্পর্কে বিষয়টি কিভাবে ছড়িয়েছে? এমন প্রশ্নের কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে শালিশে অংশ নেয়া হাবীব ঘরামী দাবি করেন, মিজানুরে পারিবারেরি দাবিতে এই শালিশ করা হয়েছে। এসময় মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল আহম্মেদ জানান, এবিষয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় এসেছিলেন। তিনি অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।