কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে যেমন কাটছে পলকের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ এএম
এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে আক্ষেপ করলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। আদালতকে জানান, কারাগারে তাকে ৫ হাত লম্বা ৪ হাত চওড়া সেলে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় রিয়াজুল নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক একরামুল হক তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানির জন্য ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় পলককে। এ সময় পলক আদালতের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান।
আদালত অনুমতি দিলে তিনি জানান, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে তিনি ডিভিশন পাচ্ছেন না। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না সে। কারাগারে তাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে বেশিরভাগ আসামি ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যেই তাকে রাখা হয়েছে।
এ সময় আদালত পলককে লিখিত আকারে আবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর তোপখানা রোডে রিয়াজুলকে গুলি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন রিয়াজুলের পূর্বপরিচিত বিল্লাল হোসেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই নাটোরের সিংড়ায় জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরদিন ৬ আগস্ট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুনায়েদ আহমেদ পলককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে, জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়াও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে ২ ডিসেম্বর নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার এই নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছিল। পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জানান, দুপক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালত তাদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগেও বিভিন্ন মামলায় এই চারজন রিমান্ডে ছিলেন।