ফের ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় যা পরিবর্তন হতে পারে বিশ্বে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ নেবেন। ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতিতে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা স্পুতনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন মাইকেল মালুফ। তাঁর এ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের সাবেক বিশ্লেষক মাইকেল মালুফ।
মালুফ বলেন, আমেরিকার জনগণ ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মধ্যে একটি বার্তা আছে। তা হলো, তাঁরা বাইডেন-কমলা প্রশাসনের চার বছরের শাসনের পরিবর্তন চান। পেন্টাগনের সাবেক এই বিশ্লেষক বলেন, মার্কিন জনগণের সামনে পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন তাঁরা কেমন ছিলেন, আর বাইডেন-কমলা প্রশাসনের অধীন কেমন আছেন, তা তুলনা করে দেখার একটি সুযোগ এসেছিল।
ট্রাম্পের ভিন্নধর্মী ব্যক্তিত্ব নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ থাকলেও তাঁর নীতিগুলো ছিল যথার্থ। সেই সব নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হয়েছিল। ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের যুক্ততা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যয় কমানোর পথ দেখাবে বলে মনে করেন মাইকেল মালুফ। ‘মাস্ক ইতিমধ্যে বছরে দুই ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানোর সুযোগ দেখছেন বলে জানিয়েছেন যা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
পেন্টাগনের সাবেক বিশ্লেষক মালুফ ইউক্রেন বিষয়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জেলেনস্কি প্রশাসনকে অর্থ দিয়ে যেতে চান না। তিনি একটিও ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে নন। তিনি কোনো যুদ্ধই চান না। কারণ, তাঁর প্রথম মেয়াদে কোথাও যুদ্ধ ছিল না। ফলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ভিন্ন দিকে ঘুরে যেতে পারে।
এছাড়াও ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের ‘নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে’ বলেও মনে করেন মাইকেল মালুফ।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তিনি ইসরায়েলের বিষয়ে গতবারের বিপরীত নীতি গ্রহণ করতে পারেন বলে মনে করেন মাইকেল মালুফ। তিনি বলেন, ট্রাম্প গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি নেতানিয়াহুকে বলেছেন, এসব শেষ করেন। অবশ্য ট্রাম্প সৌদি আরবের দিকে আরও এগোবেন বলে ধারণা করছেন মালুফ।
মাইকেল মালুফ মনে করেন, ট্রাম্প উত্তেজনা কমানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় সচল করার চেষ্টা করবেন। এর মাধ্যমে উত্তর কোরীয় নেতাকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করবেন। তবে, ট্রাম্প ন্যাটোর সদস্যদের বিষয়ে অনেক বেশি কঠোর হবেন বলে ধারণা তার।