দুই বোলারের জুটিতে টাইগারদের রানের পাহাড়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
দীর্ঘ দিন ধরেই সমালোচনায় হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটের ব্যাটিং নিয়ে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শান্তদের ভরাডুবি। এরই মধ্যে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে সব সমালোচনার জবাব দিলেন বাংলাদেশের দুই অলরাউন্ডার জিসান ও সাইফুদ্দিন। যারা দেশের হয়ে সাড়ে চারশর ওপরে স্ট্রাইক রেটে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে বড় রান এনে দেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি অন্যরা। দেশের দুই অলরাউন্ডারের ব্যাটিং এমন একটা সময় হলো যখন শান্ত-মিরাজরা ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেস্টে লজ্জার হারে কড়া সমালোচনার মুখে। তাও ব্যাটে ঝড় তুললেন দুই বোলিং অলরাউন্ডার। বোলার হয়েও ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে ৪৫৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং চালিয়েছেন।
এমন ব্যাটিংয়ে ক্রিকেট ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন এই দুই অলরাউন্ডার। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে চরম হতাশ ক্রিকেট ভক্তরা। সবশেষ নিজেদের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টে হোয়াইটওয়াশ।
চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৬ ওভারে ১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। বেশ কিছুদিন পর মাঠে ফিরেছে হংকং সিক্সেস। আর সেই ফেরাটা হল রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়েই। এ দিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ঝড়টা তোলেন জিসান আলম। ভিন্ন ঘরানার এই ফরম্যাটে জিসান ১২ বলে তুলে নেন ৫৫ রান।
১৯ বছর বয়সী ডান হাতি বোলিং অলরাউন্ডার জিসান ৪৫৮ দশমিক তিন তিন স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে কার্যত কোনো উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুসারে ৫০ রান করতে পারলেই ব্যাটারকে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে। নিজের ইনিংসের ১২তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৫ রানে পৌঁছান জিসান। যেখানে ছিলো এক বাউন্ডারি ও ৮ বিশাল ছক্কার মার।
২.২ ওভারে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে জিসানের ব্যাটেই ছিলো ৫৫ রান। বাকি কাজটা সারেন সাইফউদ্দিন। ১২ বল থেকে জিসানের সমান ৫৫ রানই করেন জাতীয় দলের এই বোলিং অলরাউন্ডার। তার স্ট্রাইক রেটও জিসানের মতো ৪৫৮ দশমিক তিন তিন। তার ইনিংসে ছিলো তিন বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কা। এছাড়া ইয়াসির ২৮৮ দশমিক আট আট স্ট্রাইক রেটে ৯ বলে ২৬ ও আবু হায়দার রনি তিন বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ১৪৮ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান। জিসান। নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান সাইফউদ্দিন, সোহাগ গাজী ও আবু হায়দার রনি।