বাজারে আসতে ভয় পায় ক্রেতারা, দাম লাগামহীন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে কাঁচাবাজারে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সবজির দাম বাড়ছে। বর্তমানে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশে পাশে।এছাড়া বেড়েছে পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ,ব্রয়লার মুরগী ও ফার্মের মুরগী।
সবজির বাজারে গিয়ে হতাশায় ভোগেন বাজারে আসা ক্রেতারা। সব জিনিসের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় চিন্তার ভাজ এখন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। কিছু দিন পর পর হঠাৎ বাজার মূল্য বেড়ে যাওয়াই অনেকে এখন আগের মত বাজার ও করছেন না বলে জানান অনেকে। বাজারে গিয়ে দেখা যায় কাচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও কমেনি সবজির দাম। তার মধ্যে আবার বেড়েছে পিয়াজের দাম। দু- সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বাড়তির দিকে মুরগি, ডিম ও আলুর দামও। তবে কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ২০০ টাকার নিচে।
কমেনি মুরগির দামও। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি মাসখানেক ধরেই বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি এখন ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ মাস আগেও তা ২০-৩০ টাকা কমে পাওয়া যেত। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়, এক মাস আগেও ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। যে যেভাবে পারছে বিক্রি করছে মুরগি দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে ডিমের বাজারে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র, সরকারী দামে মুরগির ডিম বিক্রি করছে না কেউই । ভোক্তা অধিকারের জরিমানার ভয়ে সকাল হওয়ার আগেই ডিম বিক্রি করে দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে পাইকারী দোকানীরা।
বাজারে বিভিন্ন প্রকার শাকের দাম এখনো চড়া।প্রতি আটি পুইশাক ৪০-৫০ টাকা ও লাল শাক ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন,পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে শাক সবজি। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন সিন্ডিকেট কোনো বিষয় না বিক্রেতারা ইচ্ছে করেই দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে।
বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং না করায় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে পরেছে বাজার ব্যবস্থা। স্বস্তি ফেরাতে খুব দ্রুতই কাচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ।