ইসরায়েলের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইরানের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
চলতি মাসের শুরুতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনায় বিশ্ব। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং তেহরান ও পশ্চিম ইরানের কিছু স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে ইসরায়েলের হামলায় তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ায় বিভিন্ন শহরে স্বাভাবিক চিত্র আছে এমন দৃশ্য প্রদর্শন করে। স্কুল ও খেলাধুলাও স্বাভাবিক চলছে বলে এসব খবরে দেখানো হয়। অন্যদিকে, ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে এবার হামলা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলার দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সাথে কিছু জায়গায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইসরাইলি হামলার পর ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইরানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তেহরান ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।
এর আগে, ইরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের অভিযানের বিষয়টি ঘোষণা করে। আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের আত্মরক্ষায়’ নিজেদের প্রস্তুতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী। একই সাথে তিনি সতর্ক করে দেন যে ইরান নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করলে ‘ইসরায়েল জবাব দিতে বাধ্য হবে’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন পাল্টা কোন হামলা না করার জন্য ইরানের প্রতি আহবান জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহিংসতার এই চক্র বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। তবে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিসে থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে ইসরায়েল আমেরিকানদের নির্দেশনায় নয়, বরং নিজেদের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে হামলার টার্গেট ঠিক করেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন ‘ইরানর আগ্রাসনের’ জবাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং তিনিও পাল্টা কোন হামলা না করতে ইরানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন ওই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে তার দেশ কাজ করবে। তবে রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশগুলো উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ জর্ডান ও সৌদি আরবও আছে।
কাতার পাল্টাপাল্টি ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এ থেকে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। আর জর্ডান ইরানে হামলাকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ইরানে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে উস্কানি দেয়া বন্ধ করা দরকার, যাতে করে নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়।