গরিবের শিক্ষক খাইরুল হক, ৫০ বছরে বিনা পয়সায় পড়িয়েছেন ২০ হাজার শিক্ষার্থী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম
মেহেরপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে বুড়িপোতা ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম ঝাঝা। কৃষি কাজ ও পশু পালনই ওই এলাকার জীবিকার প্রধান উৎস। শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে তেমন কিছুই নেই। পার্শ্ববর্তী গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয় ঝাঝাসহ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে কাজ করছেন খাইরুল হক। ৫০ বছর ধরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে হেঁটে গিয়ে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। বিনিময়ে কারও কাছ থেকে নেননি একটি টাকাও।
মেহেরপুর সদরে নিজ গ্রাম ঝাঝা, সীমান্তবর্তী হরিরামপুর, ইচাখালি, গোভিপুর গ্রামে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ছাত্র ছাত্রী প্রাইভেট পড়িয়েছেন।
খাইরুল হকের ছাত্রদের মধ্যে এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি খাইরুল শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও মেধা কমেনি একটুও।
সংসারের ইতি টেনেছেন যৌবনকালেই। ছোট্ট ভাঙ্গা কুড়ে থেকে বাস করেন তিনি। চলাচলে দুর্বল খাইরুল হক বর্তমানে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। সেখানেও নেন না কোনও সুবিধা। এলাকায় তিনি পরিচিত গরিবের শিক্ষক নামে।
তৎকালীন মেহেরপুর মডেল স্কুলের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এসএসসি ব্যাচের ছাত্র খাইরুল হক। তার শৈশব কেটেছে ঝাঝা গ্রামে। মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮২ সালের দিকে গণিতে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পর আবার ফিরে আসেন মেহেরপুরে।