সাভারে মাজারে হামলার নেতৃত্ব দেন তৈয়ব খাঁন ও সাইদুর রহমান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের মাওলানা কাজী আফসার উদ্দিন বাবার মাজার শরীফে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলা চলাকালে ওই বাড়ির নারী পুরুষরা ফেইসবুক লাইভে এসে বাঁচার আকুতি জানালে ঘটনাটি সামাজিক যোগাোযগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিয়োগ উঠেছে, সেদিন রাতের ঐ হামলায় নেতৃত্ব দেয় একই এলাকার তৈয়ব খাঁন এবং চাকুলিয়া বড় পঞ্চায়েত জামে মসজিদের ইমাম সাইদুর রহমান, গান্ধারিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, গান্ধারিয়া মসজিদে ইমাম, সাধাপুর মসজিদের ইমাম এবং নিকরাইল মসজিদের ইমাম। এসময় সেই হামলায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন অংশ নেন।
সাভারের বনগ্রামের চাকুলিয়ায় ওহাবীপন্থীরা শাহ্ সুফি সৈয়দ মাওলানা কাজী আফসার উদ্দিন আল জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরীর মাজার শরীফ গুড়িয়ে দিতেই ঐ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন কাজী জাবের আহম্মেদ। এসময় কাজী আফসার উদ্দিনের পুত্র সুফি সাধক কাজী জাবের আহম্মেদকে খুনের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
হামলার ঘটনা শুনার পর ভক্তরা ৩০ সেপ্টম্বর মাজারে আসতে শুরু করলে তাদের উপর তৈয়বখান এবং মসজিদের ইমাম সাইদুরের নেতৃত্বে আবারো নৃশংস হামলা করা হয়। এসময় ৩০ থেকে ৪০ জন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় গত ৪ সেপ্টম্বর সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেও ঐ হামলার সত্যতা জানা যায়।
এই হামলায় জাবের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন মানুষ গুরুতর আহত ও জখম হয় এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বিদ্যুতের চারটি মিটার এবং বাড়িঘর ও আসবাপত্র ভাংচুরসহ ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়। প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা ধরে এই হামলার চলে।
ঐ ঘটনায় রাত দুইটার দিকে দুই প্লাটুন আর্মি, সাভর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি, সাভারের এডিশনাল ডিআইজি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। রাত ৪ টার দিকে পুলিশ এবং আর্মি উদ্ধার করে কাজী জাবের আহমেদের সপরিবার ও ভক্তদেরকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন।
এদিকে গত ৪ অক্টোবর দায়ের করা মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। আসামী মধ্যে আছেন তৈয়বুর রহমান খান, আসামি হাসিবুর রহমান, এমদাদুল হক, মুফতি আলী আকবর , সাজ্জাদুল ইসলাম বাধন, রাব্বি খান, শরীফ খান, আতিক খান হৃদয়, রায়হান মিয়া, রাব্বি চৌধুরী, মো. কাইয়ুম প্রমুখ।