স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে পিনাকীর পোস্ট, পেলেন সবুজ সংকেত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্থানের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনে আহতদের অনেকেই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। সরকার থেকে যে সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলে সেটাও মিলছেনা অনেকের ক্ষেত্রে। অনেকের চিকিৎসার খরচের ভারে বিপর্যস্ত তাদের পরিবার। ইউনুস সরকারের আহতদের চিকিৎসা ঠিকঠাকভাবে নেয়,এমন পরামর্শ দিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন এক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকি ভট্টাচার্য। পরামর্শ দেন জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঠিক চিকিৎসা কিভাবে হলে সবচেয়ে ভালো হবে। পরে তিনি আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন তার পরামর্শ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
এ ব্যাপারে তিনি লিখেন, আমি যদি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হইতাম তাইলে জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের আহতদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতাম। ঢাকা শহরে কোন একটা কম ব্যবহৃত হাসপাতালের পুরোটা বা একাংশ নিয়ে কাজটা শুরু করতাম। আমি যেহেতু ছয় বছর দেশে নাই তাই জানিনা কোন হাসপাতালের অবস্থা কেমন। যখন দেশে ছিলাম তখন সোহরাওয়ার্দী সবচেয়ে আন্ডার ইউটিলাইজড হাসপাতাল ছিলো।
সেই হাসপাতাল কিভাবে পরিচালিত হবে সে পন্থাও তিনি বলে দেন, তিনি লিখেন, ওইখানে আহতরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারতো। ওই হাসপাতালে আমি চক্ষু, থোরাসিক সার্জারী, অর্থোপেডিক্স, ক্যাজুয়ালিটি, গাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল সার্জন, নিউরো সারেজারি, আই সি ইউ, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট, ফিজিওথেরাপি, সাইকোলজি কাউন্সেলিং, প্লাস্টিক সার্জারি, কৃত্রিম অংগ সংস্থাপন ইউনিট এক জায়গায় আনতাম। হাসপাতাল ক্যাটারিং এর দায়িত্ব দিতাম স্টার রেস্টুরেন্টকে, হাউজকিপিং এর দায়িত্ব দিতাম পুর্বানী হোটেলকে।
বাংলাদেশের সেরা ডাক্তারদের, সেরা নার্সদের এইখানে পোষ্টিং দিতাম, তাদের ন্যাশনাল হিরো বানায়ে দিতাম। চিকিৎসার পুর্ণ দায়িত্ব নিতাম। যাদের বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব না, তাদের এইখান থেকেই বিদেশে পাঠাতাম।
আহতদের মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে উন্নত হবে সে পরিকল্পনাও করেন পিনাকি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আহতদের প্রত্যেককে আলাদা টিভি আর ল্যাপটপ দিতাম। ফ্রি হাই স্পিড ওয়াই ফাই থাকতো। আশেপাশে বাসা ভাড়া নিতাম সেইখানে গেস্ট হাউজ বানাতাম আহতদের পরিবারের জন্য। আহতদের পরিবারের দুইজন সদস্যদের জন্য চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে থাকা আর খাওয়া ফ্রি।
আন্দোলনে আহতদের কিভাবে পূনর্বাসন করা হবে সে পিনাকি বলেন, একটা পুনর্বাসন ইউনিট করতাম। ওইখানে কিছু বিজনেস গ্রাজুয়েট বসায়ে দিতাম। তারা প্রত্যেকের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আর আলাদা বাজেট করতো। এই বাজেটের জন্য আমি প্রফেসর ইউনুসের পিছে লাইগ্যা না থাইক্যা বাংলাদেশের বিজনেস টাইকুনদের ধরে কইতাম- এরে পুনর্বাসিত করার টেকা দেন। বিজনেস টাইকুন আগে আমারে দুইবার সালাম দিতো তারপরে কইতো যথা আজ্ঞা জনাব। একেকজন আহত চিকিৎসা সম্পুর্ন করে ফিরে যাবে তাদের নিয়ে পত্রিকায় আলাদা স্টোরি করতাম।বলে দিলাম। এখন দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।