২৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দেখতে কেমন ছিলেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মেজর থাকাকলীন সময়ে; জাতীয়তাবাদের আদশে ছিলেন দৃঢ় ও অটল। অন্যদিকে ২৫ বছর বয়সে বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ছিলেন অপূব সুন্দরী। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
গৃহবধু থেকে আজকের বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া। কেমন ছিলেন বিএনপি প্রধান? জানতে চাওয়া হয়েছিল জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে কাছ থেকে দেখা বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের কাছে। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া প্রশংসা করে বলেন তারা ছিলেন আদর্শ দম্পতি।
খালেদা জিয়াকে প্রথম যখন দেখি তার বয়স ছিল ২৫ বছর। তখন তিনি ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী। তখন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্যাপ্টেন থেকে সদ্য মেজর হয়েছেন। তাকে পশ্চিম পাকিস্তানে প্রথম দেখি। জিয়াউর রহমান আমাকে বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খাবার টেবিলে বেগম জিয়া যখন সামনে আসলেন; হালকা অন্ধকার ঘরটা যেন আলোকিত হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে আমি জিয়াউর রহমানের একান্ত সচিব ছিলাম। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়াকে কাছে থেকে দেখেছি। তারা আদর্শ দম্পতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শ আর দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করত।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে খালেদা জিয়া খুব সাধাসিধে জীবন যাপন করতেন। কথাবার্তায়ও ছিলেন খুব সহজ সরল নারী। রাজনৈতিক কূটচাল তিনি বুঝতেন না বলেও জানান মেজর হাফিজ।
খালেদা জিয়া খুবই সাধারণ একজন মহিলা ছিলেন। সারাদিন বাসাতেই থাকতেন। রাজনৈতিক কূটচাল তিনি বুঝতেন না। তবে পরবর্তীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি হাঁপিয়ে ওঠেন; এটা খুবই কষ্ট দেয় আমাকে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতার কাছে প্রশ্ন ছিল- বিএনপির সঙ্গে আপনার মানষিক দ্বন্দ্ব ছিল। স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার পর আপনার অনুভূতি কী? বিএনপি কি আপনাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পেরেছে?
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির নেতার ভাষ্য- দেরিতে হলেও দল মূল্যায়ন করেছে ৮০ বছর বয়েসে। অথচ আরো ২০ বছর আগে এই মূল্যায়ন পেলে দলের জন্য আরো অনেক কিছু করার ছিল। অবশেষে মূল্যায়ন করেছে। এই স্থায়ী কমিটির যারা সদস্য, ড. খন্দকার মোশাররফ ছাড়া সবাই আমার নিচের পদে ছিলেন অনেক বছর। ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম দীর্ঘ ২৩ বছর। যাই হোক, সেখানে হয়তো আমারো দোষ থকেতে পারে। আমার প্রধান দোষ হলো আমি সত্যি কথাটা অকপটে বলে ফেলি; যা রাজনৈতিক নেতারা বলে না। নানা ধরনের সমালোচনা করলেও দলের প্রতি এবং দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আমি সব সময়ই অনুগত ছিলাম। বিএনপির রাজনীতি যেহেতেু করি; আগে কথা বলার জায়গা ছিল না এখন কথা বলার একটা শক্ত জায়গা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হয়। আমাকে নিয়ে অনেক ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেটাও তাদের কেটে গিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার পশ্নে মেজর হাফিজ জানান, আদালতের মাধ্যমে দায়মুক্ত হয়েই দেশে ফিরবেন।:
তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন; তার মামলাগুলো ক্লিয়ার করা জন্য। আমরা চাই তিনি আইনগতভাবেই শুদ্ধ হয়ে তবেই দেশে ফিরুক। এখানে আমরা চাপ দিলে অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ অর্ডারে’ হয়তো তাকে মুক্তি দিতে পারে; তবে আদালতের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হয়ে আসুক সেটাই ভালো হবে। আমাদের প্রত্যাশা তিনি দায়মুক্ত হয়েই দেশে ফিরবেন।