কাদের ও বেনজীরের ঘড়ি-সুট, সাইফুজ্জামানের জুতার যত গল্প

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। প্রায়ই বলতেন নীতিকথা। গর্বভরে বলেছেন নিজের বিলাসী জীবনের কথা। কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা পরেন সাইফুজ্জামান। বিলাতে গেলে কেবল সুট কিনতে খরচ করেন কয়েক কোটি টাকা।
সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফেসবুকে একের পর এক সুটেড-বুটেড ছবি দিয়ে আলোচনায় থাকতেন। এ নিয়ে সমালোচনাও হতো অনেক। কিন্তু ওবায়দুল কাদের তা পাত্তা দিতেন না। ছবি শেয়ার করতেন আরও বেশি করে। তার ঘড়ি বিলাস নিয়ে নেত্র নিউজের একটি রিপোর্ট রীতিমতো তোলপাড় তৈরি করেছিল।
প্রশ্ন উঠেছিল, একজন মন্ত্রী ঘড়ি কেনার জন্য লাখ লাখ টাকা পান কোথায়। বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদও। দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে এরইমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার ঘড়ি বিলাস নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চা হয়েছে অনেক।
আল জাজিরার অনুসন্ধানী রিপোর্টে সাইফুজ্জামানদকে তার বিলাসী জীবনের স্বীকৃতি দিতে দেখা যায়। সাইফুজ্জামান একজনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, তোমার জুতা আমার পছন্দ হয়েছে। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন, সত্যিই পছন্দ হয়েছে? সম্মতি জানিয়ে সাইফুজ্জামান জানতে চান জুতা কোন ব্র্যান্ডের? এটি টেইলর ব্র্যান্ডের।
সাইফুজ্জামান বলেন, আমিও আমার জুতা হেরডস থেকে অর্ডার করেছি। এটি তৈরি হতে চার মাস সময় লাগে। প্রতিটি জুতার দাম ৩ হাজার পাউন্ড। এক্ষেত্রে এক জোড়া জুতার দাম ৬ হাজার পাউন্ড বা ৯ লাখ টাকা। এগুলো বাচ্চা কুমিরের পেটের চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি পুরো জুতায় কুমিরের পেটের চামড়া ব্যবহার করা হয় তাহলে একটি জুতার দাম দাঁড়ায় ৬ হাজার পাউন্ড, এক্ষেত্রে এক জোড়া জুতার দাম ১২ হাজার পাউন্ড বা ১৮ লাখ টাকা। অর যদি জুতায় অর্ধেক কুমির এবং অর্ধেক গরুর বাছুরের চামড়া ব্যবহার করা হয় তাহলে একটি জুতার দাম পড়ে ৩ হাজার পাউন্ড। প্রতিবার লন্ডন গেলে সাইফুজ্জামান সুট কিনতে ২ থেকে ৩ লাখ পাউন্ড খরচ করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা।
সাইফুজ্জামান বলেন, আমি সুট ভালোবাসি। আমি সুপার ২০০, সুপার ১৮০ এর সুট ক্রয় করি। সুপার ২০০ এর দাম ৬ হাজার পাউন্ড বা ৯ লাখ টাকা।