সমন্বয়কদের নিয়ে ফাহাম আব্দুস সালামের পোস্ট ভাইরাল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে ফাহাম আব্দুস সালামের একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে এরই মাঝে। নিজের ব্যক্তিগত অফিশিয়াল ফেসবুকে তিনি লিখেন, বাংলাদেশের সফল মানুষদের ৯০ ভাগ এই ভুলটা করেন। যা আপনার কাজ না এবং যা আপনি জানেনও না কীভাবে করতে হয় - সেই কাজটা যতো সহজই মনে হোক - করতে যেতেন না। একান্তই যদি করণীয় মনে করেন - শেখার জন্য যথেষ্ট সময় নিয়েন। এই জায়গায় গেলে আপনার সব দুর্বলতা এক সাথে প্রকাশ পাবে।
বাংলাদেশের ছাত্র-আন্দোলনের ছেলেমেয়েরা (সমন্বয়করা) - খুবই বিশ্রীভাবে জীবনের এই কঠিন শিক্ষাটি শিখবেন যে one should never be where one does not belong.
পত্রিকায় এসেছে যে সমন্বয়ক দাবী করে সচিবালয়ে গিয়ে পদায়ন ঠিক করছে কে কোন পদে যাবে। এগুলো ভয়ঙ্কর লক্ষণ। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের মাথায় শুভাকাঙ্ক্ষাই আছে। কিন্তু মনে রাখবেন দোজখ এমন একটা জায়গা যেটা মূলত শুভাকাঙ্ক্ষারই বীজতলা।
আপনারা বিপ্লব করেন নাই কিন্তু বিপ্লবীদের আচারকে এপ্রোপ্রিয়েশান করছেন। যেটা আপনারা বুঝতে পারছেন না যে কালকে এই প্রশাসনের প্রতিটি ব্যর্থতা আপনাদের ওপর পড়বে। জীবনে আপনারা কোনো লার্জ অর্গানাইজেশানে চাকরি করেন নাই। লার্জ অর্গানাইজেশানের একটা আলাদা ইকো-সিস্টেম আছে যেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
যেহেতু আপনারা এই কাজে নেমেছেন। আমলারা সব ব্যর্থতা আপনাদের ওপর চাপাবে। দোষ চাপানোর তিরিশ বছরের সুচারু অভিজ্ঞতার সাথে আপনি পারবেন না।
তার ওপর যেভাবে আপনারা ডানে-বামে শত্রু বানাচ্ছেন, খুব শিগ্রী বুঝবেন যে আপনাদের পেছনে কেউ নাই। চান বা না চান - বিএনপি ও জামায়াত এই দেশের অন্তত অর্ধেক মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে। এটা রিয়ালিটি। রাজনৈতিক দল না করে, জনসমর্থন আদায় না করেই আপনারা যদি এই অর্ধেক অংশকে শত্রু বানান - এই ভার আপনারা নিতে পারবেন না।
যদি আপনারা পিনাকী, ইলিয়াস, সামি, জাহেদ ভাইয়ের মতো এক্টিভিস্ট থাকতেন - সবাইকে শত্রু বানানোটা আপনারা এফোর্ড করতে পারতেন। কিন্তু আপনারা এক ধাপ ওপরে গিয়েছেন। স্বেচ্ছায় গিয়েছেন। কিন্তু ঐখানে আপনারা থাকতে চান কোনো রেস্পন্সিবিলিটি ছাড়া। এইখানে ক্ষমতাধর মানুষরা আপনার শত্রু হবেই হবে।
জায়গাটাই এমন। মাত্র ২ মাস আগে যে মনে হয়েছিলো যে সমন্বয়করা সব আত্মার আত্মীয় - ২ মাস পরেই বুঝবেন যে আগের সম্পর্ক আর নাই। মনে হবে যে এ বোকাচোদা, ও ক্ষমতালোভী, এ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।
এই সরকার ততোটা শক্ত ভিত্তিতে নাই যতোটা আপনারা মনে করছেন। পুরা বাংলাদেশ আপনাদেরকে রেস্পেক্ট দিয়েছে। সেটাকে ক্যাশ করবেন না। রেস্পেক্ট এমন একটা কারেন্সি যার এক্সচেঞ্জ রেইট খুবই খারাপ। ১ কোটি টাকার রেস্পেক্টের বদলে আপনি যদি ১'শ টাকার সুবিধা এক্সচেঞ্জ করেন - সবাই মনে করে যে শোধবোধ হয়ে গেছে।
যদি আপনাদের মনে হয় যে এই দেশের সব ফিউচার ডিসিশানে আপনারা একাট্টাভাবে পার্টিসিপেট করবেন - তাহলে রাজনৈতিক দল তৈরি করেন এবং অন্যান্য দলের মতো আচরণ শুরু করেন। আগেও বলেছি, এখনো বলছি - আপনাদের হিউজ এডভ্যান্টেজ আছে। শুরুই করবেন অন্তত ১৫% ভোট নিয়ে। যদি ব্যক্তি হিসেবে পার্টিসিপেট করতে চান - তাহলে বিএনপি, জামাত কিংবা অন্য দলে যোগ দেন।
আর যদি রাজনৈতিক দল না করেন - তাহলে তিন জন বাদে কেউ সরাসরি সরকারী কাজে নাক গলায়েন না।