১৩ শতক জমি ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা দিয়েও বেতনভূক্ত হতে পারেনি আরজিনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
বেতন ভাতায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে দফায় দফায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরু। উল্টো তাকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে ওই পদে অন্যজনকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম আর প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রতিনিধি এ রায়হান চৌধুরীর পাঠানো তথ্য চিত্রে বিস্তারিত থাকছে রিপোর্টে।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৮ সালে আয়া পদে যোগদান করেন আরজিনা বেগম। সেসময় তিনি বিদ্যালয়ের নামে ১৩ শতক জমিও দান করেন। তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছরে তাকে বেতন ভাতায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে দফায় দফায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরুসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
তবে ২০২২ সালে আরজিনাকে বাদ দিয়ে নতুন করে ওই পদ সহ আরো তিনটি পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এসব প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে একাডেমিক ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে আরজিনা বেগমকে বিদ্যালয়ে নতুন করেন পুনর্বহালের দাবি জানান।
তা না হলে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানো সহ কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তবে আরজিনা বেগম বিদ্যালয়ে জমি দিয়েছেন বিষয়টি স্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় সরকারের উপর দায় চাপান তিনি।
প্রধান শিক্ষক অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা।
তবে আয়া পদে নিয়োগ পাওয়া বেতন ভাতার জন্য আরজিনা বেগম আর কত অপেক্ষা করতে হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।