প্রশংসার পর এবার সমালোচনার মুখে যমুনা টিভির সেই উপস্থাপিকা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
তুমুল আলোচনায় থাকা যমুনা টিভির প্রেজেন্টার রোকসানা আঞ্জুম নিকোলকে নিয়ে হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নিকোল সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছিলেন কোটা আন্দোলনে নিহত শহীদ মীর মুগ্ধকে নিয়ে রাজনীতি বিষয়ক এক টকশোতে উপস্থাপনা করে। যেখানে তাকে বলতে দেখা গেছে পানি লাগবে পানি? মুগ্ধ আমাদের জন্য অনেক পানির বোতল রেখে গিয়েছে, আর একথা বলেই অঝোরে কেঁদে সবার নজরে আসেন তিনি। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মুগ্ধর প্রসঙ্গ শেষ হতে না হতেই আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছিলো আয়নাঘর ও হাওয়াভবন। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে এই প্রেজেন্টার জিজ্ঞেস করেন আয়নাঘর থেকে অনেকেই বের হচ্ছে, আপনাদের সময় হাওয়াভবন ছিল মনে আছে নিশ্চয়ই, আবারো কি হাওয়াভবন চালু করার প্ল্যান আছে? আর এর পরপরই আলোচনার তুঙ্গে চলে যান এই প্রেজেন্টার।
সুন্দর উপস্থাপনার জন্য নিকোল যায়গা করে নিয়েছে কোটি মানুষের হ্নদয়ে। রাজনীতি বিষয়ক উপস্থাপনার আগে তিনি কাজ করেছেন সাংবাদিকতা, খবর পাঠিকা ও নিউজরুম এডিটর হিসেবে।
বেশিদিন না পেরোতেই প্রশংসায় ভাসতে থাকা নিকোল হঠাৎ করেই যেনো সুর পাল্টাতে শুরু করলেন। গত ১৫ আগস্ট ‘লাউ কদুর পার্থক্য কী‘ এই শিরোনামে রাজনীতি বিষয়ক টকশোতে ঢাবির সমন্বয়ক হাসনাতকে লুংগি ডান্স নিয়ে প্রশ্ন করেন। কারণ ১৪ আগস্ট রাতে ধানমন্ডি ৩২ সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাতভর চলে লুঙ্গি ডান্স গানে উল্লাস।
নেটিজেনদের দাবি সমন্বয়ক হাসনাতের ওপর একপ্রকার ক্ষিপ্তভাবে চড়াও হয়েছেন এই উপস্থাপিকা। হাসনাত এমন কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন যার ওপর এভাবে ক্ষিপ্ত হবেন তিনি। নেটিজেনরা আরও বলছেন সমন্বয়ক হাসনাতকে শুধু হা অথবা না তে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছেন উপস্থাপিকা, তাকে ব্যাখ্যা করে বলার সুযোগ দেননি যা একজন উপস্থাপিকা হিসেবে কখনোই কাম্য নয়।
আইনুন নাহার এশা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, শুরু থেকেই তিনি কোনো এক কারণে অতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রশ্ন করে গেলেন হাসনাতকে। বেচারা ঠিকঠাক কথা শেষই করতে পারছিলো না তার আগেই আরেকটা উদ্ভট প্রশ্ন! একের পর এক! ভীষণ তাড়া উনার!
এক পর্যায়ে হাসনাতকে থামাতে তিনি রীতিমতো চিৎকার করে ওঠেন, হাসনাত! আমি চমকে ওঠি! এ কিরকম অভদ্রতা রে বাপ!
তিনি আরও লিখেন, হাসনাতকে তুলোধুনো করে দুইটা হাততালি উনি পেয়েছেন বটে, তবে এই গলার জোর আওয়ামী লীগের সময় তো উনার ছিল না। তবে এখন কেন এই হম্বিতম্বি? মানুষ হন, মানুষ। নিকোল থাকেন, কিড হয়েন না।
অনেকের দাবি কীভাবে প্রশ্ন করতে হয় তা জানেন না এই উপস্থাপিকা অথবা ভাইরাল হওয়ার আশায় এমনটা করছেন তিনি। তারা বলছেন যমুনা সবসময় ছাত্রজনতার পাশে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, কিন্তু প্রেজেন্টারের এমন আচরণ তাদের ব্যথিত করেছে। অনেকেই দাবি তুলেন প্রেজেন্টারকে তার এই উপস্থাপনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন এই ছাত্ররাই কিছুদিন আগে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে দেশে পরিবর্তন আনা কখনোই সম্ভব নয়। তাদের সময় দেয়া উচিৎ এবং এই ছাত্ররাই একদিন দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তাদেরকে কোনোভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হলে তা এই দেশের জনগণ মেনে নেবে না বলেও জানান নেটিজেনরা।