বিশ্বের যেসব দেশে এখনও বিক্রি হয় না কোকা-কোলা! জানেন কি?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলছে কোকা-কোলার পণ্য বর্জনের আন্দোলন। কোমল পানীয় বাজারে আসার পর প্রথম বছরে মাত্র ৯ গ্লাস কোকা-কোলা বিক্রি হয়। আর বর্তমানে তারা প্রায় দৈনিক ১.৮ বিলিয়ন কোমল পানীয় বিক্রি করে থাকে। কিন্তু জানেন কি, এর মধ্যে একটি পানীয়ের বোতলও ১৯৬২ সালের পর মিয়ানমারে খোলা হয়নি।
১৯৬২ সালের পর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। আর দেশটিতে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সেই দেশে সমস্তরকমের ট্রেড স্যাংশনের এবং বাণিজ্যিক চুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার ফলেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত ওই দেশে কোকা-কোলা বিক্রি হয়নি।
দীর্ঘ ছয় দশক পরে ২০১২ সালে মিয়ানমার প্রথম সামরিক শাসন সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচনের পথে যায়। মিয়ানমারে সরকার পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রায় ছয় দশক অর্থাৎ দীর্ঘ ৬০ বছর পরে মিয়ানমারে বোতল খোলা হয় কোকা-কোলার।
কিন্তু মিয়ানমারে বোতল খোলা হলেও- এই পৃথিবীতে এখনও এমন কিছু দেশ আছে, যে দেশগুলিতে এখনও নিষিদ্ধ কোকা-কোলা। তবে বেশি নয় মাত্র দুটি দেশেই কোকা-কোলার প্রায় কোনও বিক্রি নেই। এই দুই দেশ হল কিউবা এবং নর্থ কোরিয়া। এই দুই দেশকে কিছুটা কোকা-কোলা মুক্ত দেশ বলা যেতে পারে।
কিন্তু কেন এই দেশগুলিতে এখনও বন্ধ কোকা-কোলার বিক্রি? কিউবার প্রসঙ্গ আসা যাক। ঠিক যে কারণে মিয়ানমারে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কোকা-কোলার বিক্রি, ঠিক একই কারণে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই ছোট্ট দেশ কিউবাতে বন্ধ কোকা-কোলার বিক্রি। মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার কারণে।
১৯৫৯ সালে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর সরকার তৈরি হওয়ার পর সেই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও চলছে। যার ফলে ওই দেশে বন্ধ কোকা-কোলার বিক্রি। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও কারণটা একই।
তবে কিউবা-তে আগে কোকো কোলার বিক্রি ছিল। কিন্তু ফিদেলের সরকার ক্ষমতায় আসার একের পর এক কোম্পানির জাতীয়করণ শুরু করলে কিউবা ছেড়ে দেয় কোকা-কোলা। তারপর আর ফেরেনি। এছাড়া ১৯৬৭ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে কোকা-কোলা বয়কটের ডাক দেয় আরব লীগ।