ঈদেও তাদের খবর নিতে কেউ আসে না

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
এদের কারোর বাবা নেই, কারোরইবা মা নেই। অনেকের আবার বাবা মা দুজনই নেই। হতভাগা এই শিশুগুলোর কেউ জন্মের আগে আবার কেউবা জন্মের পরে হারিয়েছে বাবা কিংবা মাকে। তাদের পোশাক আশাকই বলে দিচ্ছে তারা কতটা অসহায়।
মা বাবা হারানো এসব কোমলমতি শিশুদের ঠাঁই এখন এতিমখানায়। যেখানে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধ হিফজুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানায় দ্বীনি শিক্ষা লাভ করছে এতিম শিশুরা। তাদের অনেকেই কোরআন হিফজ করে করছে ভালো ফলাফল।
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কিন্তু ঈদের আনন্দ কখনো স্পর্শ করতে পারেনি ফুটফুটে এই শিশুগুলো। ঈদ আসে ঈদ যায় কিন্তু তাদের খবর নিতে আসে না কেউই। আর দশটা শিশুর মতো ভালো কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাদেরও। কিন্তু টাকার অভাবে সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারে না এই হতভাগারা।
১৯৯০ সাল দুঃস্থ অসহায় এতিম ছেলেদের দ্বীনি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেটি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পুনর্বাসন আবাসিক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বাউনিয়াবাঁধ ডি-ব্লক এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে ২শ এতিম শিক্ষার্থী আছে প্রতিষ্ঠানটিতে। শিক্ষকসহ মোট স্টাফ রয়েছে ১২ জন। যাদের থাকা খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি। তাই তাদের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের।
২শ শিক্ষার্থীর পেছনে প্রতি মাসে ব্যয় হয় ৪ থেকে ৫লাখ টাকা। বর্তমানে সাহায্য সহযোগিতা কম আসায় অনেক কষ্টে দিন কাটছে তাদের। তাই বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
কোমলমতি এসব এতিমদের কথা ভেবে সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের।