গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এর মজুমদার বাজারে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

কোরবানি উপলক্ষে ১২ জুন পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পন্ড করে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

পশু কিনতে আসা গ্রাহক সুজন মিয়া জানান, পুলিশ অন্যায় ভাবে হাটে প্রবেশ করে পশুর হাট পন্ড করে দেয়। এতে করে কয়েকটি গরু ও ছাগল হারিয়ে যায় এবং অনেকের টাকা পয়সা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন খোয়া গেছে।

হাট ইজারাদার মাইদুল ইসলাম বলেন, মজুমদার বাজারে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নাই। সে কারণে কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না? সেই মর্মে হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে দেয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনি ভাবে পশুর হাট পন্ড করে দেয় পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯ এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জনতা পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে। আর এতে ৪ জন পুলিশ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। 

উপজেলা নিবার্হী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কোরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে হাইকোর্ট একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি।