ভারতের নির্বাচনী ঝড়ে নরেন্দ্র মোদি কি টিকে গেলেন?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে টানা দেড় মাস ধরে সাতটি ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নিজ নিজ আসনে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৪ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। নির্বাচনী বুথ ফেরত অধিকাংশ সমীক্ষাই ইঙ্গিত করছিল যে খুব সহজেই জিততে চলেছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি জোট। আবারও ভারতের ক্ষমতায় আসছে মোদি-অমিত শাহ-এর বিজেপি।
তবে, ভোট গণনায় দেখা গেল বিজেপি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও খুব মসৃণ হচ্ছে না এই জয়। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিরোধী জোটের সঙ্গে। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ের পরও শেষ পর্যন্ত বিরাট ব্যবধানেই জিতলেন নরেন্দ্র মোদি।
দেশটির নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ভারতের গুজরাটের বারানসতে ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন মোদি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রায় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। অর্থাৎ, প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ ভোটে হারিয়ে বিজয় লাভ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
অন্যদিকে, গুজরাটের গান্ধীনগর আসনে ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অমিত শাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রামানভাই প্যাটেল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ ভোট। অর্থাৎ, প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটে সোনাল প্যাটেলকে হারিয়ে জয়ী হলেন মোদির ডান হাত হিসেবে সুপরিচিত এই কেন্দ্রীয় নেতা।
এর আগে বিজেপি ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এবার এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে, মোদির বিজেপি এবার ২৫০ আসনের বেশি পাবে না। তাই সরকার গঠনের জন্য মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ-র দুই শরিক টিডিপি এবং জেডিইউ-এর ওপর। তাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র ধরে বলা যায়- মোদিই হতে চলেছেন ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পর পর তিনবার ক্ষমতায় বসতে চলেছেন।
গেল ১৯ এপ্রিল শুরু হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে সাত দফার বিশাল লোকসভা নির্বাচন। টানা দেড় মাস পর গেল ১ জুন শনিবার শেষ হয় নির্বাচনী যজ্ঞ। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের আসন প্রয়োজন ২৭২টি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই প্রকাশিত বেশিরভাগ বুথ ফেরত জরিপ থেকে জানা গিয়েছিল, ৩৫০টির বেশি আসন পেতে পারে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ।