যে শাস্তির বিনিময়ে ছাড়া পেল 'সানভীস বাই তনি'

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভীস বাই তনি’ নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং প্রতারণার অভিযোগে।
এক অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৩ মে গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া ওই শোরুমে বিদেশি পণ্যের নামে দেশীয় পণ্য বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। অভিযানে পণ্য আমদানির কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে শোরুমটি বন্ধ করে দেন তারা।
১৪ মে বিকেলে একটি ক্যাফে থেকে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট লুবনা ইয়াসমিনকে সাথে নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন তনি। দীর্ঘ ১৮ মিনিটের লাইভে প্রথমে তনি কিছু সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। অভিযোগ করেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে কিছু সাংবাদিক ভুয়া নিউজ তৈরি করেছে।
এদিকে, সানভীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং শোরুম সিলগালা করে দেয়ার প্রেক্ষিতে ১৫ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে যান তনি। ভোক্তার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মণ্ডল, অভিযোগকারী এবং তনিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এসময় অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট লুবনা ইয়াসমিন তার অভিযোগের বিষয়ে অধিদপ্তরকে পরিষ্কার করেন।
অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল অভিযানের বিষয়ে এবং সানভিস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে মহাপরিচালকের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরলে সানভিস বাই তনি’কে বিভিন্ন অভিযোগে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভোক্তার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান অভিযোগের বিষয়ে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করেন। শর্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়ারও কথা জানান।
এ সময়, সানভীস বাই তনি’র স্বত্বাধিকারী তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন। সবশেষ, পরবর্তীতে এ ধরণের ভুল হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তনি।