যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দখলে!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী যে আন্দোলন চলছিলো তা অবশেষে নতুন রূপ নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবন নিজেদের দখলে নিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হল দখলে নেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। দখলে নেয়ার পর এখন তারা ভবনের ভেতরে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয় কলম্বিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা অমান্য করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়েই অবস্থান করেন। একপর্যায়ে আলটিমেটামের সয়মসীমা পার হয়ে গেলেও বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে না আসায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের কর্তৃপক্ষ। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তীতে যা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভে বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বিক্ষোকোরীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীদের তাঁবু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিলো, কিন্তু তারা নির্দেশ মানেননি।
এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ‘বেসবলের সমান’ পাথর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশির ভাগ বিক্ষোভকারীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জর্জ লোব নামের এক আইনজীবী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, অস্টিন ক্যাম্পাস থেকে ২৯ এপ্রিল সোমবার প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর হামলার পর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। আর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।