সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রেজা হেনড্রিকসের প্রথম সেঞ্চুরিতে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১১ রানের জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। এর আগে ২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য গড়ার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক গড়েন দলটির সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম।

পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে হেনড্রিকস ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ৮৩ বলে ১৫৭ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন হেনড্রিকস ও ডুসেন। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগেরটি ছিল ১৩৩ রানের। রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ জুটি গড়েছিলেন। রেকর্ড জুটিতেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭৮তম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান হেনড্রিকস। দলের জয় থেকে ২২ রান দূরে থাকতে পেসার আব্বাস আফ্রিদির শিকার হন তিনি। ৭টি চার ও ১০টি ছক্কায় ৬৩ বলে ১১৭ রান করেন হেনড্রিকস। চতুর্থ উইকেটে ১১ বলে ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া ডুসেন। ৩৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রান করেন ডুসেন।

এর আগে সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান। শুরুতে উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৮৭ রান যোগ করে পাকিস্তানের রান তিন অঙ্কে নেন ওপেনার সাইম আইয়ুব ও বাবর আজম। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০ বলে ৩১ রান করা বাবরকে শিকার করে জুটি ভাঙেন স্পিনার জর্জ লিন্ডে। ৩১ রানের ইনিংস খেলে পঞ্চম পাকিস্তানি খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের রেকর্ড স্পর্শ করেন বাবর। এছাড়া স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত ১১ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের ৩১৪ ইনিংসের রেকর্ড ভাঙা বাবর ১১ হাজার রান ক্লাবের সদস্য হতে খেলেছেন ২৯৮ ইনিংস। ১২২ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর চড়াও হন সাইম ও ইরফান খান। ৩২ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো জুটিতে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের পথ সহজ করে দেন সাইম ও ইরফান। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ৩০ রান করে ইরফান থামলেও, সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান সাইম।

১৮ দশমিক ৩ ওভারে সাইমের রান ৯৮। কিন্তু ইনিংসের শেষ ৯ বলে স্ট্রাইক না পাওয়ায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি সাইমের। দুবার জীবন পেয়ে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।