রোকেয়া পদক পাচ্ছেন রাণী হামিদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রাণী হামিদ
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীদের নানা অবদানের জন্য বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার বেগম রোকেয়া পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ দাবাড়ু রাণী হামিদ। আজ নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেয়া হয় রাণী হামিদের হাতে।
রাণী হামিদের পদক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আম্মা রোকেয়া পদক পাবে। ক্রীড়ার মাধ্যমে নারী জাগরণে ভূমিকা রাখায় তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই স্বীকৃতি প্রদান করছে।’ বাংলাদেশ দাবা ও রাণী হামিদ সমার্থক শব্দ। চার দশকের বেশি সময় তিনি দাবা খেলছেন। কয়েক মাস আগে ৮২ বছর বয়সে হাঙ্গেরিতে দাবা অলিম্পিয়াড খেলেছেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার। দাবার জন্য তিনি বইও লিখেছেন- ‘মজার খেলা দাবা’, যা দাবাড়ুদের জন্য প্রাথমিক পাঠ।
আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এই পদক অনুষ্ঠান হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক প্রদান করবেন। রাণী হামিদ ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারসহ নানা সংগঠন, সংস্থার অনেক স্বীকৃতি পদক পেয়েছেন ক্যারিয়ারজুড়ে।
রাণী হামিদ বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক নারী গ্র্যান্ডমাস্টার। সর্বশেষ হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ৪৫তম দাবা অলিম্পিয়াডে উজ্জ্বল ছিলেন ৮১ বছর বয়সি রাণী হামিদ। বুদাপেস্ট অলিম্পিয়াডে যার যাওয়ারই কথা ছিল না। যাওয়ার পরও প্রথম দুই ম্যাচে সেরা চারে ঠাঁই হয়নি। পরের গল্পটা ছিল শুধুই রাণীময়। ৮ ম্যাচে ৭ জয়। যার মধ্যে টানা ৬টি।
রাণী হামিদ বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার। তিনি ১৯৮৫ সালে দেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার হন।
রাণী হামিদ এ পর্যন্ত ২০ বার দাবায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ৭৫ বছর বয়সে ৩৮তম মহিলা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। এছাড়া রাণী হামিদ ২০১৮ সালে তার ১৯তম জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিলেন। রাণী হামিদ ব্রিটিশ মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের তিনবারের বিজয়ী হয়েছিলেন। রাণী হামিদ রাশিয়ায় দাবা বিশ্বকাপ ২০১৮-তে সাংবাদিক চয়েস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন এবং দিল্লিতে কমনওয়েলথ দাবা ২০১৭-তে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।