ম্যারাডোনার নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডিয়েগো ম্যারাডোনা
ফুটবলের সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যিনি ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন। তবে ম্যারাডোনার স্মৃতি ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গী হয়ে থাকবে আজীবন। এবার ম্যারাডোনার স্মৃতিকে আরো সমুন্নত রাখতে তার নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে তার সন্তানরা। এই ফাউন্ডেশনের আওতায় থাকবে ‘এম১০ মেমোরিয়াল’, যা আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের পর্যটনকেন্দ্র পুয়ের্তো মাদেরোয় স্থাপন করা হবে, যা ২০২৫ সালে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।
‘এম১০ মেমোরিয়াল’-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঘোষণাটি এমন সময়ে এসেছে, যার একদিন আগে ৩০ অক্টোবর ম্যারাডোনার ৬৪তম জন্মদিন ছিল এবং ২৫ নভেম্বর পালিত হবে কিংবদন্তি এই ফুটবলারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা তার ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পিতাকে মানুষের ভালোবাসার কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাই। যারা তার কাছে ফুল নিয়ে আসতে চান, তাদের সেই ইচ্ছাপূরণের সুযোগ করে দিতে চাই।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০০০ বর্গমিটার আয়তনের ফাউন্ডেশন আঙিনায় সব আর্জেন্টাইন বিনা খরচে ঢুকতে পারবেন। আর ম্যারাডোনা ফাউন্ডেশনে অনুদান দিলে মেমোরিয়ালের ‘হেরিটেজ ওয়াল’-এর সামনে ছবিও তুলতে পারবেন। দালমা জানান, তিনি ও অন্য মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া আরো চার ভাই-বোন মিলে এই ফাউন্ডেশন পরিচালনা করবেন। ম্যারাডোনাকে ‘ট্রিবিউট প্রদান ও পরম্পরা সংরক্ষণে’র আকাক্সক্ষা থেকে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা ৬০ বছর বয়সে ২০২০ সালের নভেম্বরে মারা যান। চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদ?যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে আর্জেন্টিনার একটি আদালত ম্যারাডোনার মৃত্যুতে চিকিৎসক দলের অবহেলার অভিযোগে তদন্ত করছে।
ম্যারাডোনা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন। তিনি কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে ২০ শতকের সেরা খেলোয়াড় পুরস্কারের দুই যৌথ বিজয়ীর একজন। দুর্দান্ত ম্যারাডোনাকে খেলোয়াড়ি জীবনে ‘এল পিবে ডি ওরো’ তথা ‘দ্য গোল্ডেন বয়’ নামে ডাকা হতো।
আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা ৯১টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৩৪টি গোল করেছেন।
তিনি মেক্সিকোতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপসহ চারটি ফিফা বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। মেক্সিকোতে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। সেই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে, তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক দুটি গোল করেন যা দুটি ভিন্ন কারণে ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রথম গোলটি ছিল ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত। এদিকে দ্বিতীয় গোলটি ৬০ মিটার ড্রিবলে ইংল্যান্ডের পাঁচজন খেলোয়াড়কে পরাজিত করে এবং ২০০২ সালে ফিফা ডটকমের জরিপে ভক্তরা সেটিকে ‘গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে নির্বাচিত করে।