চট্টগ্রাম বন্দরে ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি
ফেব্রিক্স আনা কনটেইনারে এলো বিদেশি মদ

চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ ফুট দীর্ঘ একটা কনটেইনারে চীন থেকে ফেব্রিক্স ঘোষণায় আনা বিদেশি মদের একটি বড় চালান ধরা পড়েছে। ওই কনটেইনারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার বিদেশি মদ রয়েছে। এ চালানে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালানটি আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ড থেকে চালানটি আটক করে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, ফেব্রিক্স ঘোষণায় নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড এর নামে মদের এই চালান এসেছে। আর চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড। কনটেইনারটিতে ১ হাজার ১১৪ কার্টনে ১২ হাজার ১৬৮ বোতলে ১১ বিদেশি ব্র্যান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার ওয়াইন, হুইস্কি ও ভদকা পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি টাকা, আর এর বিপরীতে রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় আনা ২০ ফুটের একটি কন্টেইনার জব্দ করা হয়েছে বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায়। চালানটির বিল অব এন্ট্রি (সি-৩১৭৪১০) ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দাখিল করেছে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড। তিনি বলেন, আটক করা পণ্য চালানের আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা। দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় আনা মদের চালান আটক করে সরকারি রাজস্ব সুরক্ষিত করা হলো।