আদেশ ১ সেপ্টেম্বর
আ.লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চান অ্যাটর্নি জেনারেল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হয়। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রিটকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শুনানিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সরাসরি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চেয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, যিনি রিট করেছেন তার কোনো এখতিয়ার নেই এটা করার। রিটে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করা হয়নি। সারডা নামের যে সংগঠন রিটটি দায়ের করেছে তার গঠনতন্ত্রও এ ধরনের রিট করার অনুমোদন দেয় না। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকারে, মিছিল মিটিংয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা সরকারের নেই। অতীতে অনেক রাজনৈতিক বিষয়কে আদালতে টেনে আনা হয়েছে। যার মূল্য আমাদের দিতে হয়েছে। যে গণঅভ্যুত্থানটি হয়েছে তা বিচার বিভাগের ওপরেও এসেছে। আদালতে কোনো ঘটনা হলে আইনজীবী হিসেবে আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এজন্য মাঠের রাজনীতি মাঠেই থাকুক। সেজন্য রিট সরাসরি খারিজ করে আবেদনকারীর ওপর কস্ট (খরচ) আরোপ করা হোক। পরে রিটকারী সময়ের আবেদন করলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এ রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়। এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়। সেসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়।