সোহানের বীরোচিত ইনিংসে রংপুরের ছয়ে ছয়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চলতি আসরের প্রথম দেখায় ফরচুন বরিশালকে পাত্তাই দেয়নি নুরুল হাসান সোহানের দল। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার মিশনে দুইশ ছুঁই ছুঁই পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল তামিম ইকবালের দল। তবে নুরুল হাসান সোহানের বীরোচিত ইনিংসে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় পায় রংপুর রাইডার্স। চলতি আসরে এটি তাদের টানা ষষ্ঠ জয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নায়কোচিত ইনিংসে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর। এতে চলতি আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত রংপুর রাইডার্স।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের উইকেট হারায় রংপুর। ৩ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হেলস।
এরপর রংপুর শিবিরকে এগিয়ে নেন তাওফিক ও তিনে নামা সাইফ। রয়েসয়ে খেলে পাওয়ালপ্লে'তে ৩৪ রান তোলেন তারা। কিন্তু এরপর আর থিতু হতে পারেননি সাইফ। ১৯ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন তিনি।
অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাওফিক। তবে ফিফটি ছোঁয়ার আগেই দলীয় ৬৬ রানে ২৮ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন তাওফিক।
এরপর জুটি বাঁধেন ইফতিখার এবং খুশদিল। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তারা। ফলে, রংপুরের ইনিংসও কক্ষপথেই ছিল। কিন্তু ইনিংসের ১৮তম ওভারেই ঘটে বিপদ।
৩৬ বলে ৪৮ রান করা ইফতিখারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শাহীন আফ্রিদি। অন্যপ্রান্তে ফিফটি ছোঁয়ার আগে খুশদিল-ও সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ১৭১ রানের মাথায় ২৪ বলে ৪৮ রান করে বিদায় নেন খুশদিল।
শেষদিকে খুশদিলকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে রংপুর। এতে জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের সামনে ২৬ রানের সমীকরণ ছিল। অধিনায়ক সোহান স্ট্রাইকে ছিলেন। মায়ার্সের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেন সোহান। এরপর আবারো বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। পরের দুই বলে আরো ১০ রান নেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এরপর চার হাঁকিয়ে ১ বলে ২ রানে সমীকরণ আনেন সোহান। আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি। শেষমেশ ৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। তাদের ব্যাটে পাওয়ারপ্লে'র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। এরপরও তাদের তাণ্ডব চলতে থাকে। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে ৮১ রান তুলে ফেলেন এই দুই ওপেনার।
এরপরই বাঁধে বিপত্তি। ইনিংসের ১১তম ওভারে শান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন তিনি। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত এবং ৩৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তামিম।
তিনে নেমে ঝড় তোলেন ম্যান ইনফর্ম কাইল মায়ার্স। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর ক্রমেই তাণ্ডব চালিয়েছেন এই ব্যাটার।
অন্যদিকে চারে নেমে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন হৃদয়।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ও সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করেন রিয়াদ। তবে মায়ার্সের তাণ্ডব চলেছেই। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বরিশাল।
২৯ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। রংপুরের হয়ে ২ উইকেট নেন রাব্বি, এ ছাড়া ১ উইকেট শিকার করেন আকিফ জাভেদ।