বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি আফগানদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই ধাক্কা খেয়েছিল আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের আগুনঝড়া বোলিংয়ে দলীয় ৮০ রানের আগেই ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে তারা। তবে অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহেদী ও মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় সামলে উঠে স্বাগতিকরা। এরপর শাহেদী ফিরলেও লড়াই জিইয়ে রাখেন নবী। শেষমেশ এই অলরাউন্ডারের ৮৪ রানের সুবাদে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে আফগানরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেছিল আফগানিস্তান। তবে স্বাগতিকদের চেপে ধরার চেষ্টায় সফল তাসকিন আহমেদ। তার অসাধারণ বোলিংয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তাসকিনের অফ-স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৫ রানে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো মোস্তাফিজকে আক্রমণে এনেছিলেন শান্ত। নিজের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই উইকেট তুলে নেন তিনি। বাঁ-হাতি এই পেসারের স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রহমত শাহ। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন ফিজ। প্রথমেই অভিষিক্ত ওপেনার আতালকে সাজঘরে ফেরান ফিজ। স্টাম্প বরাবর একটু সামনে লেংথে বল করেছিলেন। তবে ব্যাটে খেলতে গিয়ে পাননি আতাল। আর ফিজের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
আতালকে ফেরানোর দুই বল পর ফের মোস্তাফিজের উইকেট। এবার শিকার ওমরজাই। ফিজের লেংথ কাটার ওমরজাইয়ের ব্যাটের কানা নিয়ে সোজা মুশফিকের গ্লাভসে। দ্বিধা নিয়ে খেলতে গিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ বলে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়ে যান তাসকিন। তার ডেলিভারিতে মিডউইকেটে তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩২ বলে ২২ রান করে ফেরেন গুলবদিন নাইব। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটে হাশমতউল্লাহর সঙ্গে তার ৩৬ রানের জুটিও ভাঙে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নবীকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন হাশমতউল্লাহ। বিপর্যয় সামলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটিও তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে নবীও ওয়ানডেতে নিজের ১৭তম ফিফটি তুলে নেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম এবং শারজায় তার তৃতীয় ফিফটি এটি।
তবে হাফ-সেঞ্চুরির পরপরই ক্যাচ তুলেছিলেন নবী। বল অনেকক্ষণ বাতাসে ভাসলেও দৌড়ে তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
নবী বেঁচে গেলেও হাফ-সেঞ্চুরির পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হাশমতউল্লাহ। ফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ৯২ বলে ৫২ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। এতে ষষ্ঠ উইকেটে নবীর সঙ্গে তার ১০৪ রানের জুটিও ভাঙে।
এরপর রশিদকে ফিরিয়ে শরীফুলও উইকেট নেওয়ার খাতায় নাম লেখান। শরীফুলের বলে মিড উইকেটে ফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১০ রানে ফেরেন রশিদ।
শুরুর দিকে ধুঁকতে থাকা আফগানরা ইনিংসের ৪৬তম ওভারে দলীয় ২'শ-ও ছুঁয়ে ফেলে। তবে দলীয় ২০০-র পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা মোহাম্মদ নবী। ৪৮তম ওভারে তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ৩ ছক্কা ও ৪ চার সাজঘরে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলে গাজানফারকেও বোল্ড আউট করেন তাসকিন।
শেষদিকে নয়ে নামা স্পিন অলরাউন্ডার খারোতের ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রানের ক্যামিওতে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে ২৩৫ রানে থেমেছে আফগানদের ইনিংস।