ফাইনালে সিনার প্রতিপক্ষ ফ্রিটস

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে যে স্বাগতিক দেশের প্রতিনিধি যাচ্ছেন সেটা জানাই ছিল। কারণ, সেমিফাইনালে লড়াই করা দুজনই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে দুজনের মধ্যে কে যাচ্ছেন ফাইনালে সেটাই দেখার অপেক্ষা। অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে। স্বদেশি ফ্রান্সেস টিয়াফোকে হারিয়ে গ্র্যান্ডসøামটির ফাইনালে উঠেছেন টেইলর ফ্রিটস।
ইউএস ওপেনের সেমিতে তুমুল এক লড়াই দেখেছে টেনিসভক্তরা। পাঁচ সেটের এই জমজমাট লড়াইয়ে ফ্রান্সেস টিয়াফোকে ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারান টেইলর ফ্রিটস।
অপর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন সিনার নিউইয়র্কের ফাইনালে পৌঁছাতে গতকাল ব্রিটেনের জ্যাক ড্র্যাপারকে হারিয়েছেন। তা-ও আবার তুমুল লড়াইয়ের মাধ্যমে। তিনি জিতেছেন ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) ও ৬-২ গেমে।
জ্যাক ড্র্যাপারের বিপক্ষে জয়ের পর সিনার বলেছেন, ‘জ্যাক ও আমি একে অপরকে খুব ভালোভাবেই জানি। কোর্টের বাইরে আমরা খুব ভালো বন্ধু। ম্যাচটি শারীরিকভাবে খুব কঠিন ছিল। তাকে হারানো খুব কঠিন, এ কারণে ফাইনালে উঠতে পেরে রোমাঞ্চ জাগছে।’ ম্যাচে ৪৩টি উইনার্স মারা সিনার কোর্টে একবার পড়ে গিয়ে কবজিতে চোটও পেয়েছেন। অ্যাংজাইটি কিংবা উদ্বেগ ব্যাধির কারণে ড্রাপার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। হারের পর বলেন, ‘আমি বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ। সবকিছু মিলিয়ে চাপটা যখন বাড়ে, তখন কোর্টে বমি বমি ভাব লাগে। পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলে নিজেকে অসুস্থ মনে হয়।’ দুই বন্ধু ড্রাপার ও সিনারের জন্ম ২০০১ সালে। কিন্তু সিনার খেলছেন ক্যারিয়ারের ২০তম গ্র্যান্ডসøামে আর ড্রাপারের এটি ক্যারিয়ারের ১০ম গ্র্যান্ডসøাম। ক্যারিয়ারের শুরুতে অ্যাঙ্কেল ও কাঁধের চোটে ভুগেছেন ড্রাপার।
আগামীকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ছেলেদের এককের ফাইনালে ফ্রিটসের বিপক্ষে লড়বে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় ইতালির ইয়ানিক সিনার।
অ্যান্ডি রডিক ২০০৩ সালে ইউএস ওপেন জয়ের সময় টেইলর ফ্রিটস ৫ বছরের বালক। রডিকের সেই জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারেননি। ছয় বছর পর ২০০৯ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠেন রডিক। গ্র্যান্ডসøামে ছেলেদের এককে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো খেলোয়াড়ের ফাইনালে ওঠার সেটাই ছিল সর্বশেষ নজির। ১৫ বছর পর এবার ইউএস ওপেন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই খরা কাটালেন ফ্রিটস। নিউইয়র্কে গতকাল ছেলেদের এককে সেমিফাইনালে ফ্রান্সিস টিয়াফোকে ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪, ৬-১ গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন র্যাঙ্কিংয়ে ১২তম যুক্তরাষ্ট্রের এই খেলোয়াড়।
টিয়াফোর কাছে প্রথম সেটে হারের পর গতকাল ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের সেট জিতে নেন ফ্রিটজ। তৃতীয় সেটে আবার হারলেও শেষ দুটি সেট জিতে ঠিকই ফাইনালে ওঠেন ২৬ বছর বয়সি ফ্রিটস। ১৬তম ‘এইস’ মেরে জয়ের পর ফ্রিটস বলেন, ‘শুরুতেই সে দাপট দেখিয়েছে এবং আমিও কিছুটা এলোমেলো হয়ে পড়েছিলাম। নিজেকে শুধু বলেছি, টিকে থাকো, সার্ভিসগুলো ঠিকমতো করে স্কোরবোর্ডের ওপর চাপ বাড়াও। টিকে থাকতে যা যা সম্ভব, সবই করেছি। যদি তা না করতাম, তাহলে আফসোসটা সব সময়ই থেকে যেত। ফাইনালে সর্বস্ব নিংড়ে দেব।’
সেমিফাইনালে বেশির ভাগ সময় টিয়াফোই দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ সেটে নেটের কাছে আলসেমি করে ড্রপ শট মিস করার পর তার খেলা এলোমেলো হয়ে পড়ে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। পঞ্চম ও চূড়ান্ত সেটে খেলা হয়েছে ২৭ মিনিট। এই সেটে মাত্র ৯ পয়েন্ট তুলে নিতে পেরেছেন তিয়াফো। এ নিয়ে ইউএস ওপেনে সর্বশেষ তিনবারে দুবারই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়লেন তিনি, ‘এটা হজম করা কঠিন। কষ্ট দেবে। ভেবেছিলাম, আমিই ভালো খেলছি। কিন্তু চতুর্থ সেটে গিয়ে ক্রাম্পের শিকার হই। শরীর একরকম শাটডাউন হয়ে গিয়েছিল। এটা স্নায়ুর ওপরও প্রভাব ফেলেছে।’