নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে সমালোচনা। ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই এবার সমালোচনার ঝড় উঠলো নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে। গত বুধবারের ম্যাচেও দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কোনো কোনো বল হঠাৎ করেই অতিরিক্ত বাউন্স হচ্ছে। আবার কোনো বল হঠাৎই যেন নিচু হয়ে আসে। পেসাররাও বলে সুইংও পাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে পরিমাণ রান উঠতে দেখা যায়, আমেরিকায় সেটা হচ্ছে না। পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যাটারদের।
এ বিষয়ে ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান বলেন, ‘আমরা চাই আমেরিকায় ক্রিকেটের প্রচার হোক। কিন্তু এই পিচ ক্রিকেটারদের জন্য সুরক্ষিত নয়। ভারতে এমন পিচ হলে, কয়েক বছরের জন্য সেখানে খেলাই বন্ধ হয়ে যেত। এই পিচটা ভাল নয়। আর এখানে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে, কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়। শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর থেকেই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পিচ নিয়ে নানা ধরণের সমালোচনা শুরু হয়। তা আরও বেড়ে যায় বুধবার ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই বিষয়ে মুখ খোলায় পর।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতলেও পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। গায়ে বল লাগার পর অর্ধশতরানের পরেই মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘নতুন মাঠ। নতুন পরিবেশ। আমরা একটু দেখে নিতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়, এখানকার পিচ এখনও ঠিক মতো তৈরি হয়নি। যদিও বোলাররা ভাল সাহায্য পাচ্ছে। তবে বোলিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলোয় গুরুত্ব দিতে হবে। টেস্ট ম্যাচের মতো বল করতে হবে।’ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টেস্টের মতো খেলা হলে সেটা দর্শকদের জন্য খুব একটা উপভোগ্য হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
রোহিত মনে করেন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ৫২ রানের ইনিংসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ‘২২ গজে সময় কাটানো ছিল প্রধান লক্ষ্য। কিছুটা সময় কাটাতে পেরেছি। বোঝার চেষ্টা করেছি এই পিচে কীভাবে খেলতে হবে। কেমন শট নেওয়া যেতে পারে। আশা করি পরের ম্যাচেও এভাবে খেলতে পারব আমরা।’
ম্যাচ শেষে রোহিত বার বার পিচ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরেই শুরু হয়ে যায় আলোচনা। পিচ নিয়ে সমালোচনার মাঝেই একমাত্র স্বস্তিতে যশপ্রীত বুমরা। তিনি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন। ১৩টি ডট বল করেছিলেন তিনি। বুমরাহ বলেছেন, ‘ভারত থেকে এসে এখানে দেখছি বল সুইং করছে। এমন সাহায্য পেলে আমি কখনওই পিচ নিয়ে অভিযোগ করব না। এই ধরণের ক্রিকেটে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে।’
অনেকে আশঙ্কা করছেন ক্রিকেটারদের চোট নিয়েও। রোহিতের কাঁধের কাছে বল লাগে। তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তার চোট যদিও খুব গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টরের হেলমেটে বল লাগে। বুমরার বল টেক্টরের গ্লাভসে লেগে হেলমেটে লাগে। সেই বল ধরেন বিরাট কোহলি, আউট হয়ে যান টেক্টর। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেছেন, ‘আমেরিকায় ক্রিকেট বিক্রির চেষ্টা ভাল, কিন্তু নিউ ইয়র্কে এমন নিকৃষ্ট মানের পিচে খেলা হওয়া মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্বকাপে ওঠার জন্য এত পরিশ্রম করে সকলে, তার পর এমন একটা পিচে খেলতে হচ্ছে।’