টাইব্রেকারে ব্রাইটনকে হারিয়ে ফাইনালে ইউনাইটেড

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৯ এএম

ছবি: সংগৃহীত
এফএ কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের পরও ছিল গোলশূন্য। তাই ম্যাচের ভাগ্য গড়াল টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ব্রাইটনকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে উঠল ইউনাইটেড।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রবিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৭-৬ ব্যবধানে জিতেছে ইউনাইটেড।
নির্ধারিত পাঁচ শটে উভয় দলই পায় জালের দেখা। এরপর এক শটের লড়াইয়ে ব্রাইটনের অ্যাডাম ওয়েবস্টার ও ইউনাইটেডের ভট ভেহর্স্টও লক্ষ্যভেদ করেন। সপ্তম শটে ব্রাইটনের সলি মার্চ উড়িয়ে মারেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ভিক্টর লেন্ডেলফ জালের দেখা পেলে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ইউনাইটেড।
ওয়েম্বলিতেই আগামী ৩ জুনের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগের দিন প্রথম সেমিফাইনালে রিয়াদ মাহরেজের হ্যাটট্রিকে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারায় সিটি।
প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে এই প্রথম শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টারের দল দুটি। দ্বাদশ শিরোপার সবশেষটি ইউনাইটেড জিতেছিল ২০১৫-১৬ মৌসুমে। সবশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে এ ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সিটি।
বলের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় রাখলেও ইউনাইটেডের আক্রমণগুলো হচ্ছিল না ধারাল। চতুর্দশ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারছিল না তারা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাইটনকে চাপ দিতে থাকে ইউনাইটেড, দূরপাল্লার শটেও চেষ্টা করতে থাকে তারা, কিন্তু গোল থেকে যায় অধরাই। ৪৪তম মিনিটে ফের্নান্দেসের কোনাকুনি শট অল্পের জন্য বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। একটু পর মার্শিয়ালের দূরপাল্লার শট যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি তাড়াহুড়ো করে শট নেন বক্সের বেশ বাইরে থেকে।
বিরতির আগ মুহূর্তে সতীর্থের কাট ব্যাকে শট নেন ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন, সোজাসুজি আসা বল শেফিল্ড গোলরক্ষক শটেই ফিরিয়ে দেন।
৫৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাইটন। বক্সের ভেতর থেকে হুলিও এনসিওর জোরাল ভলি কোনোমতে গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান দাভিদ দে হেয়া। বাকিটা সময় ইউনাইটেড পারেনি উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ শাণাতে। ব্রাইটনও পারেনি ডেডলক খুলতে। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধে রক্ষণের বলয় থেকে বেরিয়ে ইউনাইটেডের চোখে চোখ রেখে লড়তে থাকে ব্রাইটন। কয়েকবার রক্ষণে ভীতিও ছড়ায় তারা, কিন্তু দে হেয়ার পরীক্ষা নিতে পারেনি কেউ।
১০৪তম মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টানোর পর ঝাঁপিয়ে আঙুলের টোকায় কর্নার দিয়ে বের করে দেন গোলরক্ষক রবের্ত সানচেস। নষ্ট হয় ইউনাইটেডের এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ।
দ্বিতীয় অর্ধে সতীর্থের লম্বা ক্রস ধরে জায়গা করে নিয়ে শট নেন র্যাশফোর্ড। কিন্তু বল বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। শেষ দিকে ব্রাইটনের কাউরু মিতোমাও গোলমুখে সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তালগোল পাকিয়ে হারান বলের নিয়ন্ত্রণ। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে বাজিমাত করে ইউনাইটেড।