২৫ বছরের সাফল্যে গর্ব করা উচিত রাশিয়ার : নতুন বছরের ভাষণে পুতিন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
নতুন বছর শুরুর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতার ২৫ বছর পূর্ণ হলো। ২০২৫ শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির প্রেসিডেণ্টের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। সেই ভাষণে তিনি দাবি করেন গত ২৫ বছরে দেশটির অর্জনগুলো নিয়ে নাগরিকদের গর্বিত হওয়া উচিত।
১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বরিস ইয়েলৎসিনের আকস্মিক পদত্যাগের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ভ্লাদিমির পুতিন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশটির হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি রাশিয়ার একচ্ছত্র নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিরোধী দলগুলোকে কোণঠাসা করে একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন পুতিন, যার প্রভাব এখনো অটুট।
বর্তমানে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন। একই সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞার একের পর এক ধাক্কা সত্ত্বেও রাশিয়াকে কাবু করা যায়নি বলে দাবি করেছেন পুতিন।
রাশিয়ানদের উদ্দেশে বার্তা
গত মঙ্গলবার ক্ষমতায় ২৫ বছর পূর্তিতে এবং নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, রাশিয়া প্রতিটি চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, গত ২৫ বছরে আমি যা করেছি, তার জন্য রাশিয়ার জনগণের গর্বিত হওয়া উচিত। প্রিয় বন্ধুরা, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ২০২৫ সাল শুরু হবে। ২১ শতকের প্রথম এক-চতুর্থাংশ আমরা পেরিয়ে এসেছি। অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে, তবে আমরা ইতোমধ্যে যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
সেনাসদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা
নতুন বছরের প্রাক্কালে রুশ সেনাসদস্যদের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, আমাদের যোদ্ধারা এবং কমান্ডাররা স্বজন ও বন্ধুদের পাশাপাশি লাখো রুশ মানুষের শুভকামনা এবং প্রার্থনায় আছেন। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী এবং নিশ্চিত যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের শুধু সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত
যদিও পুতিন তার ভাষণে রাশিয়ার স্থিতিশীলতার বার্তা দিয়েছেন, তবু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে তার অস্পষ্ট মন্তব্য ভবিষ্যৎ বড় ধরনের দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের কারণে সাধারণ জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, যা ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের জন্ম দিতে পারে।
তাছাড়া, ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এই বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রাশিয়ার পাশাপাশি বিশ্বকেও আরো ঝুঁকিপূর্ণ।