রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির খবর উসকানিমূলক : রোসাটম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের সংবাদকে উস্কানিমূলক এবং মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে রোসাটম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রসাটমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা নিজেদের সুনাম ও স্বার্থ রক্ষার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিবৃতিতে রসাটম আরো জানায়, তাদের সব প্রকল্পে উন্মুক্ত কর্মপন্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসা প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিতভাবে বাহ্যিক নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
রসাটমের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব অসত্য তথ্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রসাটম তাদের প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যা সমাধান এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বাস্তবায়ন করছে বলে দাবি করেছে।
এদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) ২০২৩ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে উপকেন্দ্র এবং সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় উৎপাদন তারিখ পিছিয়ে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে, সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় মার্চ ২০২৪ের আগে প্রকল্পের উৎপাদন শুরু হতে পারবে না।
এই প্রকল্পটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং এর সিংহভাগ অর্থায়ন করছে রাশিয়া। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির মধ্যে ৯৩ হাজার কোটি টাকার অর্থায়ন রাশিয়ার।
বিশ্বব্যাপী ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, যা বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ প্রদান করে। এছাড়া, ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২৭টি দেশে ১৭৩টি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশও এই তালিকায় রয়েছে, যেখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা। ৬০ বছর ধরে একই দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব।