কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি দেয়া ওয়াজিব?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ১২:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ইসলামি শরিয়তে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আরবি হিজরি সনের ১২তম মাস জিলহজের ১০ তারিখ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কারো কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কোরবানি কখন দিতে হয়?
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষ, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
হিসাবযোগ্য পণ্য
কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব।
আরো পড়ুন: হজে গিয়ে প্রাণ গেল ১২ বাংলাদেশির
কোরবানির নেসাবের পরিমাণ
স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।
সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।