প্রবাসী কল্যাণ কার্ড করে নেয়ার তাগিদ: বিএম জামাল হোসেন

সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ইউএই প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম

সারজায় বাংলাদেশ কমিউনিটি কর্তৃক স্থানীয় হুদায়বিয়া রেস্টুরেন্ট হলে মরহুম জহিরুল ইসলামের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। ছবি: ভোরের কাগজ
দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেছেন, ২০২৩ সালে ৪৮৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশী এখানে মৃত্যুবরণ করেছে। এ বছর জুন পর্যন্ত প্রায় ৩'শ মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর হারও কিন্তু বাড়ছে। এটি হচ্ছে প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক। পরিবার পরিজন ছেড়ে শুধুমাত্র ভাগ্যের অন্বেষণে জীবিকার তাগিদে দেশ থেকে পাড়ি জমিয়ে এখানে তারা এসেছে। তারা কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ইনকাম করে। সে অর্থ দেশে প্রেরণ করেন তারা। এটা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। এটা দিয়ে তার পরিবার-পরিজন সচ্ছল থাকে। দেশ সমৃদ্ধ হয়। তাদের যখন এখানে মৃত্যু হয় তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সুতরাং তাদের মৃতদেহ দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে অবশ্যই আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
রবিবার (৩০ জুন) সারজা বাংলাদেশ কমিটি কর্তৃক শারজা হুদায়বিয়া রেস্টুরেন্ট হল রুমে মরহুম জহিরুল ইসলামের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা লিগ্যাল না শুধুমাত্র তাদের জন্য এ সমস্যাটা হয়। কিন্তু যাদের বিএম কার্ড আছে তাদের জন্য কোনো সমস্যাই নেই। যাদের প্রবাসী কল্যাণ কার্ড নেই তারা এটি করে নেবেন। মৃত্যুতো কখন আসবে কেউ জানে না। সুতরাং এ কার্ডটি থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। প্রবাসে ৬০ বছরের উপরে কম মারা যাচ্ছে না। যাদের বয়স ২৫-৩০ তারা বেশি মারা যাচ্ছে।
মরহুম জহিরুল ইসলাম সুস্থভাবে পরিপূর্ণভাবে হজব্রত পালন করেছেন। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তিনি অসহায় প্রবাসীদের সহযোগিতায় কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, প্রবাস জীবন বেশি নয়। আমাদের একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে দেশে। আমাদের এমন কাজ করা উচিত আমরা চলে গেলেও প্রবাসীরা আমাদের স্মৃতি স্মরণ করবে, মনে রাখবে এবং দোয়া করবে। যেমনটি করে গেছেন এই জহিরুল ইসলাম সাহেব।
আরো পড়ুন: বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীদের সুবিধার্থে বাস সার্ভিস চালু করেছে সরকার
বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সরাফত আলীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ সমিতি শারজা সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, সিআইপি প্রকৌশলী আবু জাফর চৌধুরী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ব্যাঙ্কার মহিউদ্দিন জ্জামান, সিআইপি বদরুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ ইয়াকুব সৈনিক, কাজী মোহাম্মদ ওসমান, জালাল উদ্দিন মদিনা, মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন, মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী, জাকির হোসেন খতিব, মোহাম্মদ ইউছুপ,মোহাম্মদ জাকারিয়া,সিআইপি জাগির হোসেন চুট্টু, মাজাহারুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।
হাফেজ মাওলানা কারী মহিবুর রহমানের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আরব আমিরাত প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার।
আরো বক্তব্য রাখেন- মরহুমের সন্তান সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম নবাব, মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ সমিতির সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, ওয়াহেবুল মোস্তফা চৌধুরী, জুলফিকার ওসমান, নুরুল আবছার,নাসির উদ্দিন বাবর, দুবাই আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শফিকুর রহমান, সিআইপি হাজী মাহাবুব আলম মানিক, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন, কামাল হোসেন সুমন, সিআইপি ইব্রাহিম ওসমান আপ্লাতুন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফরিদ, সাংবাদিক আলমগীর অপু, সিবলি সাদিক, সবুজ হাসান, কায়সার হামিদ সেলিম, আবদুল মান্নান, আলম গফুর, জাহেদুল ইসলাম, নুরুন্নবী ভূইয়া, সিআইপি মোহাম্মদ সেলিম, সিআইপি জাহাঙ্গীর আলম, আকরামুল হক চৌধুরী, তহিদুল আলম জিলানী, ওয়াহিদ সাদিক জনি, সুমন মিয়াজী, আব্দুল আউয়াল সহ অনেকে।