পশ্চিমা দেশে আনন্দ-উৎসবের নাম সুইডিশ মিডসামার
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম

সুইডিশ মিডসামার উদযাপন করছেন লেখক রহমান মৃধা
সুইডিশ মিডসামার উদযাপন আমাদের জীবনে প্রেম এবং প্রকৃতির মিতালীর এক অপরূপ প্রতীক। বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম দিনে, যখন সূর্য আকাশে তার সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে দেয়, তখন সুইডেনের অলিতে-গলিতে, এমনকি দ্বীপপুঞ্জে মানুষেরা একত্রিত হয় দিনটি উদযাপন করার জন্য। এই দিনটি শুধুমাত্র আনন্দের নয়, বরং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান।
মিডসামার ইস্তং (midsommarstång)-এর চারপাশে নাচ, গান, এবং বিশেষ খাবার খাওয়া, এ সবই যেন প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপায়। সূর্যের আলো এবং উজ্জ্বলতা আমাদের জীবনে যেমন আশার প্রদীপ জ্বালায়, তেমনি এই উদযাপনও আমাদের মনে এক নবজাগরণের অনুভূতি জাগায়।
সুইডিশ গ্রীষ্ম: সূর্যের আলোতে আনন্দ
মিডসামারের পরের দিনগুলোতে, সূর্যকে দীর্ঘ সময় আকাশে দেখা যায়। সুইডিশ গ্রীষ্মকাল হলো উজ্জ্বল দিন, দীর্ঘ সন্ধ্যা, এবং উষ্ণ আবহাওয়ার সময়। মানুষ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটায়, পিকনিক করে, সাঁতার কাটে, এবং বাগানে কাজ করে। এই সময়টা যেন প্রকৃতির এক অবিরাম আনন্দময় সঙ্গ।
দিনের সংক্ষিপ্ততা: সূর্যের বিদায়
কিন্তু যত দিন যেতে থাকে, ততই দিনের দৈর্ঘ্য কমতে শুরু করে। গ্রীষ্মের উজ্জ্বল দিনগুলো আস্তে আস্তে শরতের কোমলতায় রূপান্তরিত হয়। শরত্কালে সূর্য তার উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে এবং দিনের আলো কমতে থাকে। সোনালি পাতার মাঝে প্রকৃতির সৌন্দর্য নতুন রূপে দেখা দেয়।
লেখকের সহধর্মিণী
শীতকাল: অন্ধকারের সাথে মিতালী
শীতকাল আসে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে। দিনগুলো ছোট হয়ে আসে, আর রাতের অন্ধকার দীর্ঘ হতে থাকে। সুইডেনের উচ্চ অক্ষাংশে শীতকালে এমন একটি সময় আসে, যখন সূর্যের দেখা প্রায় মেলে না। এই সময়টিকে "পোলার নাইট" বলা হয়, যেখানে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই অন্ধকারে ঢাকা থাকে।
আলোহীন দিনের জীবন
যদিও শীতকালে সূর্যের আলো কমে যায়, তবুও সুইডিশরা তাদের জীবনযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। ঘর গরম রাখার জন্য তারা ফায়ারপ্লেস এবং হিটার ব্যবহার করে। শীতের রাতে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, গরম কফি বা চকোলেট, এবং প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, এ সবই যেন শীতের অন্ধকারের মাঝে এক নতুন আলো ছড়িয়ে দেয়।
আভা প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষা
শীতের গভীর অন্ধকারের মধ্যেও মানুষ জানে যে, আবারও আলো ফিরবে। প্রকৃতির নিয়মে আবারও বসন্ত আসবে, দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে শুরু করবে। আবারও সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় গ্রীষ্মের দিনগুলো ফিরে আসবে। এ এক চক্রাকার প্রকৃতির খেলা, যেখানে অন্ধকারের পরেই আলো আসে।
প্রেম ও প্রকৃতির অনন্ত মিতালী
সুইডিশ মিডসামার উদযাপন আমাদের শিখায় প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে মিতালী করা যায়। বছরের দীর্ঘতম দিনে সূর্যের উজ্জ্বল আলো যেমন আমাদের জীবনকে আনন্দময় করে তোলে, তেমনি শীতের অন্ধকারও আমাদের মনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এ এক প্রকৃতির চিরন্তন চক্র, যেখানে ভালোবাসা এবং প্রকৃতি মিলে এক অনন্য সুর সৃষ্টি করে।
চলছে মিডসামার উদযাপন
মিডসামার: পারিবারিক, সামাজিক এবং বন্ধুত্বের বন্ধন
পারিবারিক বন্ধন
মিডসামার সুইডিশ পরিবারের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এমন একটি সময়, যখন পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে একটি আনন্দময় দিন কাটায়। বছরের এই সময়টি সুইডেনের স্কুলের ছুটির সাথে মিলে যায়, তাই শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সবাই একত্রিত হয়ে উদযাপন করে।
ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি
সুইডিশ পরিবারগুলো মিডসামারের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি পালন করে। যেমন, মিডসামার ইস্তং (মিডসামার খুঁটি) তৈরি করা এবং তার চারপাশে নাচা, ফুলের মুকুট বানানো এবং পরিধান করা, এবং বিশেষ খাবার তৈরি করা। এসব রীতিনীতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে, যা পরিবারের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী বন্ধন তৈরি করে।
সামাজিক বন্ধন
মিডসামার উদযাপন শুধুমাত্র পারিবারিক নয়, এটি সামাজিক সম্পর্কগুলোকে আরও দৃঢ় করে। গ্রাম বা শহরের মানুষ একত্রিত হয়ে এই দিনটি উদযাপন করে, যা সামাজিক সংহতি এবং বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
সামাজিক সংযোগ
মিডসামারের সময়ে প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। গ্রামের খোলা মাঠে বা পার্কে মিডসামার ইস্তং স্থাপন করা হয় এবং সকলে মিলে সেখানে নাচ ও গান করে। এটি সামাজিক সংযোগ এবং একতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
বন্ধুদের সাথে মিলিত হওয়া
মিডসামার একটি উপলক্ষ, যখন পুরোনো বন্ধুদের সাথে আবার মিলিত হওয়া যায়। স্কুল, কলেজ, বা কর্মক্ষেত্রের বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য এটি একটি আদর্শ সময়। সকলে মিলে খাবার তৈরি করা, গান গাওয়া, এবং নাচা, এসবই বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
মিডসামার: সম্পর্কের একটি উৎসব
মিডসামার সুইডিশ সংস্কৃতির একটি বিশেষ উদযাপন, যা পারিবারিক, সামাজিক এবং বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করে তোলে। এই দিনে একসাথে সময় কাটানো, উদযাপন করা, এবং প্রকৃতির সাথে মিতালী করা, সবই সম্পর্কের গভীরতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। মিডসামার আমাদের শিখায় যে, প্রকৃতির সাথে আমাদের সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আমাদের আশেপাশের মানুষদের সাথেও সম্পর্ক রক্ষা করা অত্যন্ত মূল্যবান।
বিশ্ব যখন হতাশায়, সুইডিশরা উদযাপন করছে আনন্দময় মিডসামার
বর্তমান বিশ্বজুড়ে হতাশা, দুর্নীতি, এবং যুদ্ধের মতো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক অবিচার, এবং পরিবেশগত সংকটগুলো মানুষকে প্রতিনিয়ত একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুদ্ধ এবং সংঘাতের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাসস্থান হারাচ্ছে, দুর্নীতির কারণে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়ছে, এবং দৈনন্দিন জীবনে হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুইডিশ জাতির মধুময় মিডসামার উদযাপন
এই অশান্ত সময়েও সুইডিশ জাতি একত্রিত হয়ে মিডসামার উদযাপন করে তাদের জীবনকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যায়। মিডসামার শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি একটি প্রতীক, যা প্রমাণ করে যে, আনন্দ এবং শান্তি সবার অধিকার।
মিডসামার: আশার প্রতীক
প্রকৃতির সাথে সংযোগ:
সুইডিশ মিডসামার উদযাপন প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি মাধ্যম। গ্রীষ্মের দীর্ঘতম দিনের এই উদযাপন প্রমাণ করে যে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে মানসিক শান্তি এবং আনন্দ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রকৃতির সাথে সংযোগ বজায় রেখে আমরা আমাদের জীবনে স্থায়ী শান্তি আনতে পারি।
একতা এবং সম্প্রতি:
মিডসামার উদযাপনে সুইডিশরা একত্রিত হয়, যা তাদের মধ্যে সামাজিক সংহতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। পরিবার, বন্ধু, এবং প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে নাচ, গান, এবং পিকনিকের মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করে। এই সামাজিক সংহতি এবং একতা আমাদের শিখায় যে, মানুষের মধ্যে বন্ধন এবং সম্পর্ক বজায় রাখা মানসিক সুস্থতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ:
মিডসামার সুইডিশ সংস্কৃতির একটি গর্বিত ঐতিহ্য। এটি সুইডিশদের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ এবং রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার, এবং অনুষ্ঠান তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে বজায় রাখে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।
বিশ্বকে একটি বার্তা
সুইডিশ মিডসামার উদযাপন বিশ্বকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। যদিও আমরা হতাশা, দুর্নীতি, এবং যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তবুও আমাদের জীবনে আনন্দ এবং শান্তির সন্ধান করা উচিত। সুইডিশ জাতি তাদের মিডসামার উদযাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করে যে, কঠিন সময়েও আনন্দ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
আশার আলো:
মিডসামার উদযাপন আমাদের শিখায় যে, আশার আলো সর্বদাই আমাদের আশেপাশে থাকে। এই আলোর সন্ধান করতে হবে এবং জীবনের ছোট ছোট আনন্দ উপভোগ করতে হবে। সুইডিশরা এই বার্তাটি প্রতিফলিত করে তাদের মিডসামার উদযাপনের মাধ্যমে।
একতার শক্তি:
যুদ্ধ এবং বিভাজনের সময়েও সুইডিশ জাতি তাদের একতা বজায় রেখে প্রমাণ করে যে, মানুষের মধ্যে সম্পর্ক এবং বন্ধন আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই একতার শক্তি আমাদের হতাশা এবং সংকটের সময়েও দৃঢ় থাকতে সাহায্য করে।
প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা:
মিডসামারের মাধ্যমে সুইডিশরা প্রকৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। এটি আমাদের শিখায় যে, প্রকৃতির সাথে সংযোগ রেখে আমরা মানসিক শান্তি এবং সুখ খুঁজে পেতে পারি। বর্তমান যুগে পরিবেশগত সংকট মোকাবেলা করতে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সুইডেনে যে উৎসব আলো ছড়ায়
মানুষ এবং প্রকৃতির মাঝে সুস্থ্য-সবলভাবে বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা: ৯৯ বছরের সেসটিনের প্রেরণা
৯৯ বছরের সেসটিন এরিকশন, যিনি সুইডিশ মিডসামার উদযাপনের একটি অংশ, আমাদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ। তার সুস্থ ও সবল জীবনযাপন প্রমাণ করে যে, মানুষ প্রকৃতির সাথে সংযোগ রেখে দীর্ঘজীবী ও সুখী হতে পারে। সেসটিনের জীবন আমাদের মধ্যে সুস্থ্য ও সবলভাবে বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নতুন করে জাগিয়ে তোলে। প্রসঙ্গত, সেসটিন আমার বন্ধু মাইকেলের মা। বহু বছর পর নতুন করে তাকে দেখার সুযোগ হয়। ডা. মাইকেল এবং তার সহধর্মিণী ডা. লেনার নিমন্ত্রণে এবার তাদের সঙ্গে আমি এবং আমার স্ত্রী মারিয়া মিডসামার পালন করেছি। মুগ্ধ হয়েছি মাইকেলের মাকে দেখে। ৯৯ বছর বয়সে সারা দিন নাচ, গান সহ সাগর ভ্রমণ যেন এক ভালোবাসার জোয়ার—জীবনের চেতনা।
সেসটিনের জীবন: প্রকৃতির সাথে একাত্মতা
প্রকৃতির সান্নিধ্য:
সেসটিন তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত প্রকৃতির মাঝে কাটিয়েছেন। সুইডেনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বিশুদ্ধ বায়ু, এবং খোলামেলা জায়গা তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। প্রকৃতির সাথে তার এই নিবিড় সম্পর্ক আমাদেরকে শিখায় যে, আমাদেরও প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
সেসটিনের জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের সাথে সংযুক্ত। সুইডিশ খাবার, যা সাধারণত তাজা এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি, তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এছাড়া, তিনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ করে তার শরীরকে সুস্থ রেখেছেন।
মানসিক শান্তি ও সংযোগ:
সেসটিনের মানসিক শান্তি এবং সামাজিক সংযোগ তার জীবনের সুখ ও সুস্থতার আরেকটি মূল কারণ। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে বসবাস, সবই তার মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করেছে।
সহধর্মিণীর সাথে নতুন জীবনের স্বপ্ন
সহধর্মিণীর সাথে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা এবং একসাথে নতুন সময় কাটানো আমাদের জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। এই সময়টিতে আমরা সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করি, পারস্পরিক সমর্থনের মাধ্যমে এগিয়ে যাই, এবং নতুন স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলি। একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের জীবনে মূল্যবান হয়ে ওঠে এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।
উপসংহার
সুইডিশ মিডসামার উদযাপন প্রকৃতির সাথে মানুষের এক গভীর সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি আমাদের শিখায় প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, সামাজিক সংহতি, এবং মানসিক শান্তির গুরুত্ব। ৯৯ বছরের সেসটিনের প্রেরণা এবং সহধর্মিণীর সাথে নতুন জীবনের স্বপ্ন আমাদের জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে সহায়তা করে। মিডসামার আমাদের জীবনে আনন্দ, সুখ, এবং শান্তির বার্তা নিয়ে আসে, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মধুময় করে তোলে।
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন থেকে, rahman.mridha@gmail.com