লিসবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

হাফিজ আল আসাদ, লিসবন থেকে
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
-65d707d8bbc18.jpg)
ছবি: ভোরের কাগজ
পর্তুগালের লিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়।
পর্তুগালের লিসবনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিসবনে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম এবং যুবলীগ নেতা তানভীর আলম জনি ও মাইনুল ইসলাম রাজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । পরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এসময় ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন পর্তুগালের লিসবনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
-65d707b51eb87.jpg)
তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি একদিকে চরম শোক ও বেদনার, অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। এ জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার যা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদরা জাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন।’
অনুষ্ঠানে আলোচকরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ভাষা শহীদদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মাতৃভাষার মর্যাদা ও সম্মানকে সমুন্নত রাখতে প্রবাসীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় অনুষ্ঠান থেকে ।
তিনি আরো বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়ে অর্জিত হয়েছে মাতৃভাষার অধিকার, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আমরা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্বে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে সমগ্র বিশ্বে এখন দিবসটি প্রতিপালিত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।