জহির উদ্দিন স্বপন
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদেরকে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হয়

খোন্দকার কাওছার হোসেন ও সঞ্জয় কুমার পাল গৌরনদী (বরিশাল) থেকে
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদেরকে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, বাক স্বাধীনতার জন্য, আমাদের নাগরিক অধিকারের জন্য, সামাজিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিতে হয়। এই গৌরনদীকে মুক্তিযোদ্ধারাই স্বাধীন করেছেন। অথচ সেই স্বাধীন বাংলাদেশেই গত ১৭/১৮ বছরে আমিসহ আমার সহকর্মীরা এলাকাতেই আসতে পারি নাই, বাড়ি-ঘরে থাকতে পারি নাই। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে। আমি নিজে এই আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতিত হয়েছি, অসংখ্য বার জেল খেটেছি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘ঐতিহাসিক ২২ ডিসেম্বর গৌরনদী মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলা, পৌর ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ৭১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে দেন দরবার করেছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই। ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাক বাহিনীর সদস্যরা হায়নার মত আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। ২৫ মার্চের পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমনের মুখে সেই সময়ের মাত্র ৩২ বছর বয়সের মেজর জিয়া বলেছিলেন ‘উই রিভল্ট’। এই বলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
আরো পড়ুন: মেজর হাফিজ ও আলতাফ হোসেনসহ ৮৪ নেতাকর্মী খালাস
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানকে যারা অপমান-অসম্মান করেছে ৫ আগষ্টের পর আমরা তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামত করার ৩১ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। জনগনের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, বাক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
সমাবেশের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল (উত্তর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল (উত্তর) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান খান মুকুল, অগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. কবির হোসেন তালুকদার, গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জাহির সাজ্জাদ হান্নান, অগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা বশির আহাম্মেদ পান্না, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম, গৌরনদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শরীফ শফিকুর রহমান স্বপন, গৌরনদী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. ফরিদ মিঞা বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো. সাইয়্যেদুল আলম খান সেন্টু।
এতে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার, সালাম খান, মনসুর আহাম্মেদ, ইসাহাক সন্যামাত, জাতীয়ততাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের বরিশাল জেলা সভাপতি মো. জাবির হোসেন জুয়েল প্রমুখ।