সালমান এফ রহমানের দাড়ি কামানো নিয়ে যে মন্তব্য করলেন ডা. জাহিদ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। গুম খুন ও লুট করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, নিজেকে বাঁচার ভয়ে আপনি (সালমান এফ রহমান) নিজের দাড়ি কামিয়ে ছিলেন। বুঝতে হবে অহংকার হলো পতনের আসল কারণ। প্রতিটি কাজের সঠিক হিসাব কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে দিতে হবে। কেউ হয়তো নেদারল্যান্ড গেছেন। কলকাতা গেছেন। কেউ চট করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন। যদি সত্যিই সৎ সাহস থাকলে, তাহলে দেশে ঢুকে পড়ুন, বিচারের মুখোমুখি হোন।
তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। তাড়াড়াড়ি জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কতদিন পর নির্বাচন হয়েছিল, সেটি নিশ্চয় কেউ ভুলে যাননি। সবারই মনে থাকার কথা। নির্বাচন করতে কতদিন লাগে, সেটি দেশের মানুষ জানে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে এক এক করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেজন্যই সব রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বতী সরকারকে সহায়তা করছেন। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সব সংস্কার তো আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) করতে পারবেন না। নির্বাচন কখন হবে তা আগে পরিষ্কার করুন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন একরকম, আবার তার প্রেস সচিব বলেন, আরেক রকম। আপনাদেরকে তো আমরাই সবাই মিলে সহায়তা করছি। আপনার কে কথা বলবেন দায়িত্ব নিয়ে বলুন। না হলে মানুষ ভুল বুঝবে, বিভ্রান্ত হবেন।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবন কঠিন অবস্থায় পড়েছে। বলা চলে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। এখান থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেত্মাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখী করুণ। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। যারা দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করতে চায় তাদেরকে দেশবাসী স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মহান স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের স্বাধীনতার গৌরব ছিনতাই করতে চায়। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ যুদ্ধ করে অপরিসীম ত্যাগ শিকার করেছেন। আমরা নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে ঘৃণা করি। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা কেউ নষ্ট করতে পারবেন না। আগামীতেও সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবো।
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, মোদির বক্তব্য বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার তুল্য। রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা দেশবাসীকে নিয়ে তার কঠিন দাঁতভাঙা জবাব দিবো
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারকে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা কিংস পার্টি গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার কল্পনা করেন সেটি হবে ভুল চিন্তা। কারণ আমরা লড়াই করতে জানি। রাজপথে এখনও আছি।