ছদ্মবেশে থাকা মাহমুদুরই হারিছ চৌধুরী, যেভাবে দাফন করতে বলা হলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার সাভার উপজেলার একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা মরদেহটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর। আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ পরীক্ষা তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে।
এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করতে বলা হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সামিরা তানজিনের আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী বলেন, ছদ্মবেশে থাকা মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী। ডিএনএ পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়েছে। তার লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে সিলেটের কানাইঘাটে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, ৫ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে লাশ তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ৬৮ বছর বয়সে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছিলেন তার মেয়ে সামিরা। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসা থেকে তার দেহাবশেষ উত্তোলন করেছিল প্রশাসন।
পরিবার ও আইনজীবীর ভাষ্য, তৎকালীন সরকারের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য হারিছ চৌধুরী আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে ঢাকা শহরেই ছিলেন তিনি। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান।
কিন্তু তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে তার মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তাকে কবর দিতে বাধ্য করা হয়।
সরকার সেসময় তার প্রকৃত পরিচয় অনুযায়ী কোনো মৃত্যুসনদ দেয়নি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার প্রাপ্য সম্মানও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
আরো পড়ুন: সেই কবরে মাহমুদুর রহমান নয়, হারিছ চৌধুরী: ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত