মেজর হাফিজ
‘অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দেশ সংস্কার করবে’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম

‘৭ নভেম্বর আকাঙ্ক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: ভোরের কাগজ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দিন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দেশ সংস্কার করবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে ‘৭ নভেম্বর আকাঙ্ক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোট কি এত সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪- এর লড়াই তো হয়েছে বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর এরা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’। তাহলে কিসের জন্য যুদ্ধ, এত আত্মত্যাগ? ভোট কি এতই হেলাফেলার বস্তু? অর্থাৎ এরা (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন) গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে— দুই-একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।
আরো পড়ুন: ভুয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রিজভীর বিবৃতি
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করা হয়েছে। এই সরকারের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়’। তারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইতোমধ্যেই সরকারের উপদেষ্টা পদে আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন লোক ঢুকে গেছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তান সমতুল্য, তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে, আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর হাজার নেতাকর্মী জীবন দিলো, তাদের হিসাব-নিকাশ কে করবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, ভবিষ্যতেও করবো। আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, এদেরকে সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব বটে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।