আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে : আব্দুল মোমেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৮:৪১ এএম

সংসদ সদস্য এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত
আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে, এতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, অল্পসংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলার জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগীদার হচ্ছে, দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। দুর্নীতিবাজদের ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।
আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। কানাডার টরন্টোয় বাড়ি করা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে। যে টাকা পাচারের (কানাডায়) তথ্য পাওয়া ২৮টি ঘটনার মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীই বেশি।’ যদিও টাকা পাচার করা সেই ২৮ জনের নাম এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি আওয়ামী লীগ সরকার।
আরো পড়ুন : মতিউর রহমানের ঘরে আলাদীনের চেরাগ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি, রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে বলেও সংসদে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ব্যাংক খাতের অবস্থা খারাপ। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। বরং বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকাকে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা, তারা হতাশ হয়েছেন। কালোটাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জন প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হয় না, এতে খরচ ও জনগণের হয়রানি বাড়ে। দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত বেসরকারি খাতে হয়ে থাকে। সে জন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত।
এবারের বাজেটে বাজেট–ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। এর অর্থ হলো, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।