দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের দিন রাজপথে সরব থাকবে বিএনপি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরলে হবে না, আমাদের রাজপথে কর্মসূচি পালন করে যেতে হবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ (শনিবার) দেশের মহানগরগুলোয় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মী এসে অংশ নেন। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে ম্লোগান দিতে থাকেন।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল সাড়ে তিনটায় কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা এই মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি নাইটেঙ্গেল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় হয়ে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
কালো পতাকা মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার চীন, ভারত, রাশিয়ার সরকার। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। দেশের মানুষ যদি সার্টিফিকেট না দেয়, বিদেশি সার্টিফিকেট দিয়ে আপনাকে বৈধ সরকার প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, ‘আজকে শুধু আমাদের ভোটের লড়াই নয়, ভাতের লড়াই আছে, আছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই।’
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে রাজপথে এসেছি। এই সরকার কালো পতাকার কালো আঁধারে নিশ্চিহ্ন হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। ৭ জানুয়ারি সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, বাংলার মানুষ দিল্লির পরাক্রমশালী মুগল সাম্রাজ্যের অধীনতা পর্যন্ত স্বীকার করে নি। কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের মানুষ এই আওয়ামী একদলীয় বাকশাল সরকারের অধীনতাও স্বীকার করবে না।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোটে প্রমাণ হয়েছে মানুষ এই সরকারকে চায় না এটা জনপ্রতিনিধিত্বহীন পার্লামেন্ট। দলের নেতা–কর্মীরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে অল্প দিনের মধ্যেই এই সংসদ ভেঙে সরকার নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি আর ডামির ভোট ৭ জানুয়ারি। ৯০ ভাগ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা দেশ শাসন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।’
দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, দেশে লুটপাট করে একটা সরকার টিকে থাকতে পারে না। তাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।