নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদূত মাইলামের বক্তব্যে ইআরডিএফবির নিন্দা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম

বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংগঠন রাইট টু ফ্রিডমের সভাপতি ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইআরডিএফবি।
দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি অংশগ্রহণ করার পরেও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ে মার্কিন প্ল্যাটফর্ম ‘রাইট টু ফ্রিডমের’ উদ্বেগকে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) বিশেষ দলের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন হিসেবে দেখছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশী বন্ধুরা উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন।
মাইলামের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসির) সদস্য এবং ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারনৈতিক রাজনীতির ফলস্বরূপ নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন। মোট ৩৫ দেশের ১৮০ জন বিদেশী পর্যবেক্ষণ আসছেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন।
ইতোমধ্যে ১০ দেশ তাদের পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা শক্তির বাইরে কোন দেশের উদ্বেগ নেই জানিয়ে তরুণসহ সকল ভোটারকে নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানান অধ্যাপক সাজ্জাদ।
সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে গিয়ে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টির প্রার্থী অংশ গ্রহণ করছে আসন্ন নির্বাচনে যেখানে ক্ষমতাসীন দলের অনেকই কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি ইআরডিএফবির।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য সমান স্থান নিশ্চিত করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্সের ভূমিকা পালন করছে। মার্কিন ও পশ্চিমা মহল বিশ্বের বিভিন্ন কোণে সেনা মোতায়েন করে শান্তি ও গণতন্ত্র বিনষ্টে জড়িত রয়েছে বলে দাবি করছে শিক্ষাবিদদের এই সংগঠন।
ইআরডিএফবি সভাপতি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ব্যবসা বাড়ানোর জন্য যুদ্ধে ইন্ধন যোগাচ্ছে এবং উপসাগরীয় প্রতিরক্ষাকারীরা প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে। ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়ার মতো আরব দেশগুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে মার্কিন সেনারা। মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সম্পদ লুট হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আসন্ন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে তরুণ-তরুণীসহ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।